তোমার  মা যদি ভিখারিনী হয়, তবে তুমি কে?
যদিও তোমার আছে অজস্র সম্পদ,  
   আছে চারিদিকে খ্যাতি,
  আছে দান করার সুনাম।
তোমার মা যদি রাস্তায়-রাস্তায় ভিক্ষা করে,
বেঁচে থাকার  দু মোঠো  অন্নের  জন্য।
        তবে তুমি কে?

তোমার আছে শত-শত  ভুড়ি গহনা
আছে জামদানি যা তোমার শ্রীকে আরো সুশ্রী করেছে
তোমার মা যদি ছেড়া তাঁতের শাড়ীও পড়তে না পায়
          তবে  তুমি কে?

তোমার আছে বড় বড় অট্টালিকা,
তোমার মা যদি বাঁচার প্রত্যাশায়,  
রাস্তার খড়কুটুর আশ্রয়ও না পায়
         তবে তুমি কে?

তোমার দরজা অন-অফ করার জন্য,
জামা প্যান্ট ওয়াস করার জন্য,
আছে পোষা চাকর।
তোমার মা যদি পরে থাকে;
বাড়ির একটা পরিত্যক্ত ঘরে।
যেথায় ঘরে সন্ধার প্রদীপ জ্বেলে দেওয়ার কেউ থাকেনা।
এঁটো বাসন পরিষ্কার  মত কেউ থাকে না,
আবার সে এঁটো বাসনেই খেতে হয়।
কলসিতে জল ভরে দেওয়ার কেউ থাকেনা,
দিনের পর দিন সেই বাসি জল খেতে-খেতে
যদি শেষ নিঃশ্বাসের  অপেক্ষা করতে হয়
         তাহলে তুমি কে?
তোমার পরিচয় কী হওয়া উচিৎ???

তুমি যদি যৌবনের এত তেঁজ থাকতেও
কারো মুখের তিক্ত কথায় কষ্ট না পেয়ে থাকতে পার না
অন্যর তিক্ত কথা গুলো  সুঁচ হয়ে বিধে
তবে ভাব তোমার মা কি করে সয়তে পারবে
তোমার তিক্ত কথাগুলো।

মনে করো না  রাতের আকাশে সব সময় পূর্ণিমা থাকবে--
কখনো অমাবস্যা  আসবেনা?
তোমার কখনো বার্ধক্য আসবেনা ?




                                  সংক্ষেপিত







এক মা কে  দেখে লেখা কবিতা  আজ দুপুর    2.15 মিনিটে