যদি কখনো গ্রীষ্ম আসে প্রখর উত্তাপে
অশ্বত্থের ছাঁয়া হয়ে মিশব তোমার সত্তাতে,
শুষ্ক ধুলোয় আঙ্গুল ছুঁয়ে লিখবে আমার নাম
হিমেল হাওয়া হয়ে শুষে নেব ললাটের ঘাম।
যদি কখনো বর্ষা আসে শ্রাবণে অঝোর
আমি বৃষ্টি হয়ে ছোঁব তোমার অধর।
প্রণয়ের জল আর শীতল অনুভূতির সঙ্গে
ছড়াব তোমার প্রণয় তৃষিত অঙ্গে-অঙ্গে।
যদি কখনো শরৎ আসে একাকী কাশবনে
কাশফুল হয়ে ছোঁব তোমায় সমীরণে
ভালবাসায় ভরিয়ে দেবো তোমার ওষ্ঠ-অধর
আমার পরশে সুখ লুটাবে অপরাহ্ন ভর।
যদি কখনো হেমন্ত আসে পাকা ধানের ঘ্রাণে
মন মাতাবো তোমার নবান্নের লোকগানে,
আসবে ছুটে টানবো তোমায়---প্রেমের অমোঘ টান
কুয়াশায় নীল জোছনা হয়ে তোমায় করাবো স্নান।
যদি কখনো শীত আসে কুয়াশার চাদরে
শিশিরের আলতা পরাব পায়ে অদরে,
বুকেতে জড়াব তোমায় উষ্ণতার আবেশে
যেমন সদা থাকো তুমি বুকের বাঁ পাশে।
যদি কখনো বসন্ত আসে কোকিলের গানে
পেড়িয়ে সীমা এসো আমার আহবানে,
খুব কাছে -- নিঃশ্বাস যেন মিশে নিঃশ্বাসে;
প্রকৃতির রঙে রাঙাবো তোমায় ভালবেসে।