আমার এ জড়া-জীর্ণ গৃহে
ছিল এক পাখি ;
সোনালি বরণ তার, সেকি বাহার
কাজল বরণ আঁখি।
বড় যতনে ঘরের কোণে
রেখেছিলাম তারে ;
ভাঙ্গিনি ডানা, বাঁধিনি তারে
জড়িয়ে কাঁটাতারে।
আমাকে ডাকতো পাখি দিবানিশি
তার মায়াবী সুরে,
চোখের আড়াল একটু হয়ে--
যদি যাই দূরে।
হঠাৎ একদিন এলো কালবৈশাখী
আকাশটা কালমেঘ ভরে,
দিনের শেষে ঘরে ফিরে দেখি
সাধের পাখি নাই আর ঘরে!
খুঁজে-খুঁজে পাগল আমি
জ্বলি বিরহের বিষে,
কেমনে- কোথায় তবে পাখির
দিশা পাব কিসে?
হঠাৎ দেখি সোনার পাখি
ঐ---ঐ যে দেখা যায়,
সোনার পাখির মন ভালো নেই
বন্দি আজ সে খাঁচায়!
পাখিটা আজ শুনছে নাকো
ডাকছি আমি বারবার ;
"ও পাখি, এই দেখো আমি
করোনা চোখ ভার।"
হঠাৎ কে যেন আসে তেরে-
"এখানে কি দরকার?
বড় বেশি দামে কিনেছি পাখি;
এখন আমার অধিকার।"
আমার পাখি কে আমি চাই ফিরে
ধারিনা কারো ধার,
বন্দি খাঁচাটা অন্যের হলেও
পাখিটা যে আমার।