প্রথম রাত
পালকের মত উড়ছে স্বপ্ন
শহরের অন্দরে তীব্র হাহাকার,
এক ফোঁটা জল অথবা রক্ত
দাবানল ছড়িয়েছে প্রবল।
হাড় পোড়া ছাই জমে শক্ত।
তোমার চেতনায় টান টান শিরদাঁড়া।
পাশে জলন্ত টায়ার,
কালো ধোঁয়া, এসব তুচ্ছ।
টলমল পায়ে এগিয়ে যাও।
মনে রেখো এখনও তুমি লাশ নও
তুমি বেঁচে আছো বেঁচে থাকার জন্য।
দ্বিতীয় রাত
দু কুচি শসা আর মুড়ি নিয়ে মুখোমুখি
আমি আর তুমি।
ধাবিত সময় আটকে আছে
উত্তর কলকাতার হাট খোলা দরজা
আর একান্নবর্তী রান্না ঘরে।
পঞ্চাশের উজ্জ্বল সিঁদুর মিশে গেছে
অক্লান্ত ছাপাখানার কালিতে।
চল আরেকবার পালাই
চিতার আগুন নেভার আগে
আরেকবার ছুটে যাই বেদুইন
জিপসিদের মত..
তৃতীয় রাত
এখন আর যাবার সময় নেই
নিমতলা ছুঁয়ে এলো এলোকেশী চুল।
দু চার ঘর প্রতিবেশীদের সাজো সাজো রব।
সন্ধ্যে নেমে এসেছে পশ্চিম কোণে
মাটির বেড়া দেওয়া ঘর
সেও বোঝেনি নদীর জলসুখ।
এখন আর ভাবার সময় নেই।
কিশোরী নদী আজ একলা বয়ে যাক
দু ধারে হোক স্তুতি, মন দিয়ে সবাই শুনুক
কিভাবে খরায় শুকিয়ে
মেয়েটা আমার নদী হয়ে গেল..