তোমার বাড়ির বারান্দায় সকালের কাগজ ।
এখন শহরে শীতের পূর্বাভাস
ভোরের আলো ফোটে তোমার অজান্তে ।
একটু বাদে টাটকা শিশির ভেজা খবর
তোমার আঙুল ছুঁয়ে উঠবে চোখের কনিনীকায় ।
খবর টা পড়ে তুমি বিস্মিত বাক রুদ্ধ ।
ভাবছ এও কি সম্ভব?
টেবিলে তখন গরম চা তোমার ঠোঁটের
উষ্ণতার অপেক্ষায় !
আসলে কাগজের শব্দ গুলো ঠিক
পরমাণু বোমার মত ।
লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে মাথার ভেতর ।
শহরের চৌমাথায় দৈনিক ট্রাফিক তখন মত্ত ।
দৈত্যের রূপ নিচ্ছে ক্রমশ,
পণ করেছে কিছুতেই
যেতে দেবে না আগে ।
চোখের সামনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে
সমস্ত হাঁসপাতালের দরজা
কর্কশ গলায় কেউ বলছে
এখানে হবে না অন্য কোথাও নিয়ে যান ।
অসহায় বাবা তখন খবর হচ্ছে আস্তে আস্তে ।
অথচ কিছুতেই বুঝতে পারছে না
সই না করলে নড়বে না স্ট্রেচারের চাকা ।
তুমি আড় চোখে চেয়ে আছো
ছাপার অক্ষরের দিকে ।
শব্দ গুলো পুড়ছে দাউ দাউ করে
কালো ধোঁয়ায় মেশানো চিৎকার
একটা বছর আটেকের ছেলের, বলছে
"একটু জল দেবে বাবা, সারা গা জ্বলে যাচ্ছে "
তোমার মাথার ভিতরে হটাত তীব্র বিস্ফোরণ ।
চোখ খুলে দেখ একবার, কোথায় দাঁড়িয়ে তুমি!