বাড়িতে ঢোকার আগে
জানলাগুলো ঠিক করে দেখে নিও।
সাবেকি বাড়ির মুখ
বলতে তো ওই।
চড়ুই গুলোও আসেনা আজকাল।
খালি কার্নিশ আর বড্ড
বেমানান দুপুর
মুঠো মুঠো ধূলো
নিয়ে গিলছে অসহায় বাড়িটাকে।
কালশিটে পরা চৌকাঠে বিবর্ণ রোদ
শুকনো পাতার বাসর ঘর
সাজিয়েছে।
উত্তরের বারান্দায় পলেস্তারা
খসিয়ে শীর্ণ বৃদ্ধ দেওয়াল।
নিঃসঙ্গ।
কেউ খবর রাখে না।
বৃদ্ধার ছড়ানো চুলের মত
অসংখ্য বটের ঝুড়ি সটান
নেমেছে নীচে। ত্রস্ত দালান।
ছোপ ছোপ কালো দাগ
তার সারা শরীর জুড়ে।
অন্দর মহলের একমাত্র ঝাড়
শোকে অন্ধ। এক বুক জমানো
ব্যথা তার সাবেক উত্তরাধিকার।
পাতাল স্পর্শ করেছে দু চোখে।
এখানে কেউ ভাত চড়ায় না।
ভাতের গন্ধ নেই কোথাও
শুধু কয়েক টা শুকনো আঁশ
এদিক ওদিক।
স্তাবক বেড়াল মুখ চুবিয়ে।
এখানে সময় থমকে গেছে
পেন্ডুলামের মত ঝুলন্ত কড়িতে।
বেওয়ারিশ কিছু টুকরো কাঠ
দরজার কাছে স্তূপ করে।
এখুনি আগুন দরকার।
নশ্বর দেহ নয় তবু সুড়কির মৃত বাড়ি
জেগে থাকবে আরও একশ বছর
ধুলো হবার আগে।
নির্লিপ্ত বিজ্ঞপ্তি মুখে নিয়ে দিব্যি বেঁচে
থাকবে।
"এই বাড়ি সত্বর বিক্রয় আছে"।