সন্ধ্যে হয়ে এল,
পাতারা শান্ত হওয়ার ভান করে আছে।
মেয়েটা এখনও বাড়ি ফিরলনা।
আকাশের ফুটন্ত তারারা লাজুক।
তালাচাবি খোলার গল্প
শুনতে চায় ঝোড়ো কাক।
ঘাসেরাও পায়ের শব্দ পায়।
ফিস ফিস করে জানায় প্রতিবাদ।
পাথুরে হাত হানে চরম আঘাত।
মেয়েটা এখনও বাড়ি ফিরলনা।
ওর মা এখন বিজ্ঞাপনের মুখ।
তিনটে দল খবর নেয় রোজ।
নিয়ম করে। দু বেলা।
ওদের বাড়ির চারপাশে চরছে তারা।
আকাশ থেকে নেমে আসছে সূর্য।
পানাপুকুরে মুখ ডুবিয়ে তাক করে আছে পানকৌড়ি।
এখুনি মাটি থেকে তুলে আনবে সদ্য পোঁতা মাছ।
এত কিছু হল তবুও মেয়েটা বাড়ি ফিরল না।
গল্পটা সবার জানা।
চোখের জলটাও বাসি হয়ে গেছে।
নোনতা চিবুক এখন বেশ সতেজ।
অপেক্ষা করছে আরেকটা গল্পের।
অথবা একটা প্রতিঘাতের
জামার কলার টেনে বার করে আনবে জিভ?
ছিঁড়ে টেনে ফেলবে স্পর্ধার হাত?
কিন্তু মেয়েটা যে এখনও ফিরল না।
কে করবে এসব?
দরজায় ভিড় করে আছে অচেনা মুখ।
সকলেই ওকে কোলে নিতে চায়।
মেয়েটা যেন খেলার পুতুল।
পকেট ভরে এনেছে সুখ।
মেলা বসেছে চৌমাথা জুড়ে।
কেউ কেউ দেবী বলে ডাকছে ওকে।
হা হা হা দেবী? এক মুহূর্তে
আছড়ে মেরেছে মাটিতে।
জাপটে টেনে ছিঁড়েছে আভরণ।
এসব গল্প মাত্র অথবা গল্প না।
সবাই কিন্তু ওকে ডেকেছে দেবী।
খুঁজেছে অনেক এ গলি সে গলি।
পায়নি কিছুই ধুলো ছাড়া।
মেয়েটা আজ ফুল থেকে ধুলো হয়ে গেছে।