দেয়ালে নিশান রাখতে গিয়ে দুটো গুলি
নষ্ট করেছিল রাখাল।
চৌকাঠে তখন বসন্ত। একাত্তরের সকাল।
শূন্যে হাত ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিল ইনকিলাব জিন্দাবাদ
চোখের কোনায় শিশিরের জল আর
গায়ে মাটি মাখানো বস্তা!
শিলাঘাটের সিঁড়িতে সিঁড়িতে আর্তনাদ।
ঘড়ির কাঁটায় চোখ আটকে যেতো নির্বাক।
এখনও বাড়ি ফিরলো না অমুকের ছেলে
ফিস্ফিসে স্বর এ গলি সে গলি কানামাছি খেলে
কার ছেলে কার বাপ?
আগুনে আগুন দিয়েছিল কিছু এলোমেলো বাতাস।
আকাশে বারুদ ফুড়ে বন্ধ করবে মেঘেদের ত্রাস।
এভাবে কিছু মোড়ে হঠাৎ শানিত কুঠার ক্রমশ
ধীর হয়ে আসে অগুনিত ফুলের মালা পাবে বলে।
চেতনা বিশুদ্ধ করবার প্রকৃত সময় এখন
মাটিতে নয় শেষ দিনে
তাকে শুয়ে রেখো অমৃতের কোলে।
দুটো গুলির দাম বড় কিছু নয় একটা গোটা জীবন।
ধুয়ে যাওয়া তাজা রক্ত।
বিকেলে উড়ে যাওয়া চড়ুইয়ের
নরম বুক তখন পাথরের মত শক্ত!
আমার গলির মুখ ঢেকে দেয়
চোখের গোপন ইস্তাহার।
ছেলেটা এখনও বাড়ি ফিরল না
দোষ টা কি ঘড়ির কাঁটার?