চুপ!
এখানে শব্দরা ঘুমোচ্ছে।
এই মাত্র আমাকে একলা ফেলে আমার মা
বাইরে গেছেন।
আমার মায়ের ভাষাও বাইরে গেছে।
চার পাশে কেমন শান্ত অস্ফুট কান্না।

চুপ!
এখানে আমার ভাষা শুয়ে আছে।
তার দেহ রাখা রয়েছে বিমান বন্দরে
তার শয্যা পেতেছে সরকারি সকুলে।

চুপ!
এখন অন্তিম মুহূর্তে,
আমার মুখের ভাষা
আমার প্রাণের ভাষা ঘুমোচ্ছে।
এই মাত্র শেষ দেখা করে গেছেন জীবনানন্দ।
নাড়ি ছ্ন্দ হীন বলে গেছেন নীরেন্দ্রনাথ।
শীর্ণকায় দেহে বাড়ানো দুই হাত
কিছু বলতে চাইছে।

চুপ!
কোনও শব্দ নয়।
পরিযায়ী পাখিদের ডানায় লেগে থাকা
ধুলোর মত অক্ষর ছড়িয়ে পরছে এদিক ওদিক।
কিছুটা খুঁটে খেল আমন ধানের চাষির ছেলে।
কিছুটা পেলো আধপেটা খাওয়া রাখালের মা।
কিছুটা আটকে গেলো ভাঙা ভিটের দেওয়ালে।

চুপ!
এখানে শব্দরা ঘুমোচ্ছে।
এই মাত্র আমাকে একলা ফেলে আমার মা
বাইরে গেছেন।
আমার মায়ের ভাষাও বাইরে গেছে।
তাকে খুঁঁজতে হাটতে হবে যোজন পথ।
খুঁঁজে বার করবই এটাই আমার শপথ।