"গোলাপ কুঁড়ি ফুটেছে বনে"
গাইতে গাইতে হেঁটে যাচ্ছেন বুদ্ধ।
চেতনা ছাই। চেতনা মাটি। চেতনা শুদ্ধ।
চিতার আগুনে লেলিহান আম্রপালীর
অপেক্ষার রাত। নিশি ডাকে বিম্বিসার।
হাজার বছরের সময়ের ঘাড় বেয়ে নেমে আসা
বটের বাকল গলা টিপে ধরে আমার।
মগধ ছেড়ে পথে নেমে এলেন বুদ্ধ।
হাতে অনির্বাণ জ্যোতি। মুখে স্মিত হাসি।
পায়ে পায়ে ছড়ানো ফুল রাশি রাশি।
মুক্তি চাই। উদ্বাস্ত মন। দরজা ভেঙে
ছুটে যাই। উন্মুক্ত আঙিনায় স্তূপ হয়ে আছি হতবাক।
পলেস্তারা খসে পড়েছে। কানে ধীর হয়ে আসে ডাক।
দেহ চলে গেলে নিভে যাবে আগুন।
মন ছুঁয়ে থাকে মন।
জলে মিশে যায় বুদবুদের মত। নীরব আয়োজন।
এ পথে হেঁটে গেছেন তিনি।
শিশিরে ভেজা শিউলির ঝাঁক
এদিক ওদিক। যেদিকে চোখ নিয়েছে বাঁক।
ভেজা উত্তরীয় থেকে পড়ে থাকা ফোঁটা জল।
শান্তি মন্থন করে নিয়ে আসে মনের তল।
বৈকাল হ্রদের গভীরে ডুবে যায় প্রাণ।
আলো নেমে আসে। মহা জীবন। মহানির্বাণ।