আমি কিভাবে মারা যাবো
সেটা কেউ ই জানেনা।
কিন্তু আমি কিভাবে বেঁচে থাকবো
এটা অনেকেই জানে জানাতে চায়!
বাজারে সব্জী ওয়ালা ঠিক করে দেয়
কোনটা আজ সেজেগুজে আমার গরস হবে।
পাড়ার চায়ের দোকানে গেলে
অজান্তেই হাতে চলে আসে 'বিশেষ দ্রষ্টব্য'।
মুঠো হাতে আগুন। নামে নীচে।
আরও নীচে।
মাটি ভেদ করে উঠে আসে দাবানল।
খবরের কাগজ ঠিক করে দেয়
ঠিক কোন কোন খবর না পড়লেই নয়।
কার মৃত্যুতে মুছে গেল কার কলঙ্ক,
বাজারে চড়া দামে বিকোচ্ছে ধর্ম,
আরেকটু চড়া লিপস্টিক,
উগ্র চামড়ার গন্ধ,
মুখ টিপে ধরে রাখা কিশোরীর কান্না,
দেদার বিকোচ্ছে।
ঠিক কত টা অক্সিজেন আমি নেব
সেটাও ঠিক করে
দেবে আমাকে নিয়ে চলা রাস্তা।
কার্বন লালায়িত একটি অকেজো ফুসফুস
আমার জন্য বরাদ্দ।
মাথা ভেদ করে
রক্তের জালিকা ছিঁড়ে
ছিটকে বেড়িয়ে আসতে চাইছে প্রাণবায়ু!
এক মুহূর্তে শুষে নেবে ষোল চাকার ট্রাক।
রাবারের ফ্যাক্টরি।
রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে
আমাকে দেখতেই হবে
মাটিতে পড়ে থাকা শক্ত চড়াই।
কোন অদৃশ্য শক্তি এসে
গলা টিপে খুন করে রেখে গেছে।
ধুলো হয়ে সেই দেহ বয়ে নিয়ে আসবে
কিলোবাইট গিগাবাইট টেরাবাইট ডেটা।
এ সমস্ত ডেটা আলোর চেয়ে বেশী গতি তে
নিয়ে ছুটবে আমার আবেগ।
আনন্দ, অনুভূতি।
অথচ কি নির্মম সেই সুখ!
আমার মুখের দিকে চেয়ে থাকে
নিষ্পলক চড়াইয়ের মুখ।
এখন অর্ডারে ডেলিভারি দেয়
অযাচিত মেকি আনন্দ।
রোজ সিঁড়ি বেয়ে উঁকি দিয়ে যায়
নাম লেখা খাম।
সম্পর্কের দাম চোকাবে
লাল নীল সাদা রুপোলি সুতো।
বিষে নীল হয়ে গেছে আমার
দুহাত, লোমকূপ।
চারিদিকে শুধু মৃতদের স্তুপ।
জড়ো হয়ে আছে।
এ জগত যান্ত্রিক।
এ জীবন যান্ত্রিক।
এই চোখ মর্মান্তিক।
শুধু আলেয়ার উৎসবে মাতে
স্বার্থপর রাত।
আমি কি ভাবে বেঁচে আছি
সেটা কেউ ই জানেনা
সকলেই বুঝে নিতে চায়
আমার বেঁচে থাকার আনন্দ।