আমরা ঠিক সেই জেনারেশানের নই
যারা মুখে হাই আর মনে বাই পাশাপাশি রাখে
আমরা যত্ন করে সাদরে ঘরে আসতে বলি
আমাদের ঘরে ক্যাঁথার আসন পাতা থাকে।
আমরা ঠিক সেই জেনারেশানের নই
যারা চোখে ফোন আর কানে হেডফোন গুঁজে রাখে
আমাদের মন এখনও ওয়্যাক ম্যান খোঁজে
চোখ ঘোরে বইয়ের সাজানো তাকে।
আমরা ঠিক সেই জেনারেশানের নই
যারা বিকেল পাঁচটায় অনলাইনে অঙ্ক করতে বসে
আমরা এখনও বিকেলের আকাশ খুঁজি।
খোলা মাঠ দেখি শ্যাওলা দীঘির পাশে।
আমরা ঠিক সেই জেনারেশানের নই
যারা মায়ের মুখের ওপর তুমি চুপ কর বলে
আমাদের মায়েরা এখনও বকা দেন
কখনো খুব জোরে। চোখ ভরে আসে জলে।
আমরা ঠিক সেই জেনারেশানের নই
যারা বাবার গ্লাসে গ্লাস ঠেকিয়ে
উল্লাসে ভাসে সুখে।
আমাদের চোখ এখনও সংযত
নম্রতায় মাটির দিকে থাকে ঝুঁকে।
আমরা ঠিক সেই জেনারেশানের নই
যারা বিদ্রোহ মানে চুম্বনের ডাকে বিপ্লব বোঝে
আমরা পড়েছি ভগত সিংয়ের বই
আমাদের মন ইনক্লাবের মানে খোঁজে।
আমরা ঠিক সেই জেনারেশানের নই
যারা পিৎজা পার্টির পরে স্লিপ ওভারের কথা ভাবে।
আমাদের ছিল মামার বাড়ির আদর।
আমরা থাকতাম চিলে কোঠার ছাদে।
আমরা ঠিক সেই জেনারেশানের নই
যারা শিক্ষক দিবসে টিচার্সের বোতল শেয়ার করে
পথে দেখা হলে আমাদের হাত এখনও
গুরুজনদের পায়ের ধুলো খোঁজে।
আমরা ঠিক সেই জেনারেশানেরও নই
যারা উদ্ধত হাতে কলার ধরছে কলেজ প্রিন্সিপালের
আমাদের আঙ্গুল কলম ধরেছিল
দুহাতে রক্ষা করেছে সম্ভ্রম সম্মানের।
আমরা সাধারণ। অতি সাধারণ ভাবে
বড় হয়েছি অনেক কিছু না পেয়ে হাতে
আজকে দেখি প্রাচুর্যতা্র জীবন। তবু
ঠিক কি যেন নেই এই জেনারেশানের সাথে।।