গাঁয়ের মাঠে দূরন্ত কিশোরী, নটেশাকে ওড়নার পুঁটলি,
সখি সখি বেলা যায় বয়ে, লালচে সূর্য তোল মুঠোচারি।
মা ডাকে সর্ষে বনে, গরু নিতে হবে বাড়ী সন্ধ্যার আড়ি,
ফিরে চলো ঘরে মা দিবেন গালি, পরে আছে গৃহস্থালি।
কুমড়ো লতায়, গিঁটে গিঁটে অফুটন্ত ফুল কুমড়ো কড়া,
কিশোরীর মতো'ই হলুদ রঙে, লাজুকে মুখাবারণ করা।
দিগন্ত ছেয়েছে হলুদ সর্ষে, সেথা- মৌমাছি খেলা করে,
সর্ষে গাছগুলো ফুলের ভারে, নুয়েছে আইলে আইলে।
পায়ে পায়ে ফুল রেনু, হলুদবর্ণে ঢেকেছে আলতা রঙ,
সন্ধ্যার আলো গাঁয়ের পথ, হলুদ রাঙা কিশোরীর মুখ।
সখী'র সাথে হেলেদুলে চলে, নটেশাকের পুঁটলি হাতে,
আটঘাট বাঁধা কিশোরী, ঘোমটা টানা অর্ধেক আঁচলে।