নীলা তোমাকেই উৎসর্গ করে ছিলাম, জীবনের বসন্ত কানন,
যতো ফুল ফুঁটে ছিলো, সবই লুটিয়ে ছিলো তোমার পাদমূলে।
শ্রাবনে পদ্মজমি দখলিত নীল ভ্রমরা, কতো বিগ্রহ কতো যুদ্ধ,
ঝড়ে কেঁপে উঠে ক্রন্দসী, ভেসে যাই ফেঁসে যাই ক্রান্তি কুহকে।
সেদিনও তোমার ঘুমন্ত শিয়র পাশ, নিশ্চুপ দাড়িয়ে চুপিসারে,
রেখেছিলাম গোলাপ গুচ্ছ, অজান্তে জেগেছিল মানস কামনা।
লাজে পাপড়ি ঝরে পরে, তোমার ওষ্ঠপরে তবুও তুমি জাগনি,
তোমার তন্দ্রা চোখ, আমার ছিলো মানস কামনা অতন্দ্র নিভৃত।
আজও মগ্নতায় দেখি। ঘুমন্ত শরীরের সেই স্তরিত অববাহিকা,
বয়ে চলা হিল্লোল কল্লোল, আর ক্ষয়ে যায় শপ্তদর্শী রাজমুকুট।
তারপর জেগে উঠে! মানস নামের ঘুমন্ত হিংস্রো দানবী প্রাণীটা,
টগ-বগে ছুটে চলে রেসেরি ক্ষ্যাপা ঘোড়া, শান্ত হয় চিরন্তনতায়।