জানিস প্রেয়সী; এখনো কথা বলতে পারি রাগ করতে পারি,
কথার হেরফেরে, তোমার সাথে অভিমান আসে অনায়াসে।
আমার'ই বিহ্বল মন্থর কুঞ্চিত, নৈসর্গিক ধাঁধার রোষানলে,
অভিমানের হোমাগ্নী সহসা'ই জ্বেলে, ডেকে আনে সর্বনাশা।
বিবেচনায় বর্জিত হয়, জ্বলে পুড়ে মিলে যায় পৃথ্বী বায়ুপথে,
সাধনার সর্বনাশা কাল ফণায় লম্ফন, ইঞ্চি ইঞ্চি দূরতিক্রম্য।
বিষাক্ত তেজ ক্রিয়ায় ঝলসে, মাংস হাড় স্নেহ-ময়ী পদার্থও,
তবুও ভুল হয় তবুও ভুলি, সবুজ ঘেরা আঙিনার প্রশস্ত পথ।
জানিস প্রেয়সী; এই অভিমানের বাঁক খন্ডিত হয় রণক্ষেত্রে,
মন পিঞ্জরের হিংস্রো প্রানীটা, যখন কারও বিশ্বসে ছটফটে।
তখনই হেলেপড়ে উত্তর দক্ষিণের, বাহুবন্ধন মায়ার আবদ্ধে,
ভুলে যায় বৈরী আকাশ কালো মেঘ, কালদূত সমগ্র সংসার।
মৃত্যু চেতনায় জ্ঞানশূন্য, তোমাদের ক্রন্দন আমার অভিমান,
ভুলে যাবো সব'ই মায়া মমতা, মর্ত্যলোক তোমার বাহুবন্ধন।
যখন পরে রবে বিছানায়, সরলদেহ অন্দর সাজ শব যাত্রায়,
শুকনো চোখ একদৃষ্টি, শত ভেজা চোখ মনে রবে ক্ষণকাল।