জাগো হে হিংসা,
জাগো হে ক্রোধ,
জাগো হে বর্বরতা !
ভাঙ্গো সনাতন সততা ।
জাগো অমানবিকতা
লোপ পাক প্রেম বোধ।
এ ঘৃণা তাদের জন্য
দেয় না যারা বুভুক্ষু মুখে অন্ন।
আমাকে লিখতে দেখেছে অনেকে
সারা দিন লিখেও পেরোয় রাত,
আমি শুধু দেখতে পাচ্ছি এতো দুর থেকে
মহামারীর কালো হাত।
আস্তাকুঁড়ের ছাই হয়ে
আমি অপেক্ষায় আছি,
একটা ঝড়ের প্রতিক্ষায়
মানুষ রূপি বিলাসী
রাক্ষস গুলোর ভোজ থালায়
ঝাপিয়ে পড়তে।
আমি মহামারী !
আমি মহাভয়,
আমি কালক্ষয়
আমি দুর্জয়
মহাশক্তি,
আমি নর
আমি নারী
এ বিশ্বময়
আমি অনাহারী জীবনের মুক্তি !
এই চুপ !
কোনো কথা নয়,
ভেঙ্গে ফ্যাল শ্বেতপাথরের আলয়,
কংক্রিটের গগন চুম্বী স্তুপ !
আমি ধ্বংস! বিলাসী সমাজের।
আমি রুগ্ন রুগীর জন্য
জীবন দ্বায়ী ট্যাবলেট ,
মুখোশ ধারীর বুকে বিদ্ধ
আমি ঘাতক বুলেট ।
আমি সৎ সৈনিকের হাতে
কোশ মুক্ত অসি,
আমি সাধারণ মানুষ
মানবতায় বিশ্বাসী।
আমি ইন্দ্রজাল !
যতো কূটকৌশল
এ মুঠিতে ধরি ।
যাদুকর চিরকাল
মহামঞ্চ মহা নিখিল ,
ইন্দ্রকাঠি ঠেকিয়ে ফিরি
নিপিড়িত মানুষের প্রতি
মৃত্যুর হাটে
বাজী রাখি জীবন,
কিনি মুক্তি !
আমি রাজদ্রোহী
শকুনি রাজার চোখে,
এ গণতন্ত্রের যুগে
আমার দেশের লোকে
দারিদ্র অসুখে ভোগে !
হে বিদ্রোহের কবি নজরুল
তুমি বলোনি ভুল,–
“ বন্ধু গো আর বলিতে পারি না
বড়ো বিষ জ্বালা এই বুকে !
দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি
তাই যাহা আসে কই মুখে।
রক্ত! ঝরাতে পারি না তো একা
তাই লিখে যাই এ রক্ত! লেখা।
বড়ো কথা,বড়ো ভাব,আসে নাকো মাথায়
বড়ো দুঃখে !
অমর কাব্য তোমরা লিখিও
বন্ধু , যাহারা আছো সুখে ।।”
মজ্জায় মজ্জায় আন্তর্জাতিক
লতায় পাতায় বহু দুর ,
স্বার্থের কালো বাজারে
আজ দেশটা ভরপুর।
আমি বার বার ফিরে গেছি
শ্বেতপত্র হাতে ,....
শাসকের খাতির যত্ন
এখনো আছে শরীরে মেখে।
তাই রক্তের অক্ষরে
লিখি রক্ত লেখা ,
তীক্ষ্ণ তরবারির ডগায়।
মনের সখে
রক্তের অক্ষরে
লিখতে বসিনি
রক্তের কাব্য,
সংকট নব্য-নব্য
জমিছে এ দেশ সংসারে ,
নির্বিকারে
হতাশার অন্ধকারে
মরিছে স্বজন অনাহারে
আমার দু’বাহুর পরে।
রোজ সূর্য্যাস্তের পরে
দু’হাতে কবর খুঁড়ি .....
তার পর বুকের সেতারে
ব্যথার সুর সৃষ্টি করি।
হে সরকার
তোকে ধীক্কার! তোকে ধীক্কার !
শতবার
করেছিস মিথ্যার দরবার,
ভাবিসনি একবার
দারিদ্র্যের প্রতিকার।
আমার কথায়
এতোটুকু হলেও আছে যুক্তি ,
রোজ রাতে প্রস্তুত করি সনদপত্র
দাবির স্থানে নাম লিখি মুক্তি !