মানুষের বিবর্তনে
পৃথিবীর পরিবর্তন চোখে পড়ে।
যাদের দেখার মত চোখ
আছে বলে মনে হয়।
আমাদের প্রপিতামহদের মৃত চোখে
যে ইতিহাস ধারণ করে রেখে গ্যাছে
নিত্য প্রয়োজনীয় দিনের
অস্বচ্ছ পথকে আরও সুরম্য
করে গড়ে দেয়,
অনাস্বাদিত উল্লাসের চাহিদায়
মনুষ্যত্ব বিকোতে দেখা যায় মানুষকে আজ।
মানুষকে আজ মানুষের কাছে সাহায্য সহানুভূতি
না পেলেও ঋণ পাওয়া যায় সহজে।
বিংশ শতাব্দীর বিষ পান করে
যারা এদেশের অমরত্ব চেয়েছিলো একদিন,
তাদের ইতিহাস আঙ্গুলের স্পর্শে
ঘেঁটে দেখা প্রয়োজন বলে
আজ কারো কারো মনে হয়।
পাকা গমের মতো চামড়ার রঙে
সহজে এ্যালকোহল মিশে যায়,
মিশে যেতে যেতে সভ্যতাকে
অন্ধকারে নিয়ে চলে ।
আলোকে ধারণ করা যায়,
ধরে রাখা যায় না জেনেও জীবনকে
ফুরিয়ে ফেলা কর্পূরের মতো;
বলে মনে হয়।
রাজাকে উচ্ছেদ করার পরে
তার নীতিকে ধরে রাখে
কিছু স্বার্থান্বেষী স্তন্যপায়ীরা
কলকাতা থেকে গুজরাট
কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী ,
অখণ্ড কে ভেঙ্গে ফেলে খণ্ডকে
একই সূত্রে গেঁথে রাখার
আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে
নিরিহ প্রাণের আহুতি দিয়ে।
রক্তের স্নান সেরে তারা
অন্য বিজয়ের আস্বাদ পেতে চায়
বলে সাধারণদের মনে হয়।
সকলে মিলে যে বিজয় এনে ছিলো অতীতে,
আজিকার বাহকরা সে "জয়"এ
সন্তুষ্ট নয় বলে বহুবিধ
রাজার নীতির জন্ম দিয়েছে
অন্ধকার রাষ্ট্রের কোণায় কোণায় ।
রাজার নীতির মারপ্যাঁচ বুঝি না
আমি সাদামাটা লোক,
তবু, আমার বুকের ভেতর জমা
অগণন মানুষের শোক !
ইস্কুল পালিয়েছি বহুবার
মাথায় ঢোকেনি গণিত হিসাব ।
ধানক্ষেতে, নদীর পাড়ে হেঁটেছি বহুদিন ;
দেখেছি অশ্বত্থ গাছের তলে "মানত" মেলা উৎসব ।
দেখেছি দরিদ্র কৃষক,সুতোর,চামার,বেদে
দেখেছি ভূমিহীন দিনমজুর এসেছে দল বেঁধে।
প্রত্যেকে ভালো থাকার বাসনায়
অশ্বত্থের দেহ জড়িয়ে সুতো বাঁধে।
ফিরেছি রাখালের সনে
গোধূলিরাগে বাঁশী শুনে শুনে
নদীর জলে এখন শান্ত ঢেউ।
নদীর স্রোতের মত বয়ে গ্যাছে সময়।
আজিকের গণিতবিদেরা মনে রাখেনি কেউ ,
সময়ের স্রোতে পরিবর্তনের "পলি" এসে জমে।
চেতনার চর ভরে কুচিন্তার আগাছা ঘাসে।
এ চরে তৃণভোজী প্রাণীর প্রবেশ নিষেধ।
আজিকার এ দ্বিতীয় মন্মন্তর
কুচিন্তার আগাছায় তৈরী।
আজিকের এই হতদরিদ্র ইতর প্রাণীদের
" নাশ"করতে কোনো পারমাণবিক
বোমার প্রয়োজন পড়বে না
আজ ধুয়াশাচ্ছন্ন স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতার আশীর্বাদে।
বিলুপ্ত নগরীর মতো বিলুপ্ত হবে দরিদ্র জনপদ!
উন্নততর রাষ্ট্রিয় গাণিতিক হিসাব।
পার্লামেন্ট দাপিয়ে বেড়ায় কিছু উন্মাদ - উন্মাদিনী
সংবিধানের প্রলেপ মেখে।
ঐ সব সঙ দেখে দেখে
ছানি পড়ে আমাদের প্রপিতামহদের চোখে।
আজ তাঁরা মৃত।
তাঁরা আজ মৃত ইতিহাস।
কখনো কখনো সেই মৃত ইতিহাস
জীবিত সাক্ষী দিতে ফিরে আসে,
ফিরে এসে চেতনার অবচেতন পলি ভেঙ্গে ভেঙ্গে
সত্যের সৌধ নির্মাণ করে নিজ গুণে
দেশ কাল পাত্র, সত্য বলে মনে হয়।