বৈশাখের মেঘের চাইতেও কৃষ্ণবর্ণ
তোমার ওই রেশম গোছা চুল,
মানবী নাকি পরী তুমি নিজেকে
নিজেই চিনতে করবে ভুল।

শ্রাবণের তরঙ্গিণী যেমনি করে সদা
ভরো ভরো হয়ে থাকে জলে,
তোমার ওই সুরমা আঁকা অক্ষিজোড়া
প্রায়সই জ্বলে ওঠে টলমলে।

ভাদ্রমাসের কাশকাননেরাও যেন
স্নিগ্ধতায় তোমাতে হারায়,
আলিঙ্গন করবে শ্বেত মেঘেরদল
আহবানে দু-বাহু বাড়ায়।

কার্তিকের নবান্ন যেমন কৃষানীর ঘরে
পৌঁছে দেয় সোনালী সুখের হাসি,
তোমার ওই ভূবন মাতানো প্রানোচ্ছল হাসিতে
মনে হয় গলেতে পরিলাম ফাঁসি।

মাঘের অনাকাঙ্ক্ষিত অসহ্য সইত্যপ্রবাহে
যে বেলা জমে যায় তনুমন,
তোমার নরম হাতের এক স্পর্শ যেন
উষ্ণতায় সবটাই করে পূরণ।

ফাগুনের শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া আর
হলুদ সোনালুর মহাসমারোহে,
সবকটা দিন কেটে যায় নির্বিকার আমার
তোমাতে ডুবে থাকার দ্রোহে- বিদ্রোহে।



২৭ অক্টোবর ২০২৪
নজরুল নিবাস, রাকুদিয়া।