নিহারিকা-
তোমার প্রস্থানের পরও আমি ভাল আছি।
খাচ্ছি-দাচ্ছি, দোকানে বসছি।
দিব্যি কেটে যাচ্ছে দিন।

জেনে খুশি হবে হয়তো-
রাতটা বড় নির্মম আমার জন্য।
সন্ধ্যা হলেই আমার আসরে নেশারা এসে বসে,
আগুনেরা হাতবদল হয় বৃত্তাকারে।

মুক্ত বাতাসে গান ধরে নিমাইয়ের দল।
ভালোই লাগে।
আগুনে ঝলসে লাল হয়ে যাওয়া চোখে অন্ধকারে তাকাই-
সিনেমা হলের পর্দার মতো সেখানে অনেকগুলো স্থির চিত্র আসে।
ধারাবাহিক, বারবার, বহুবার।

এক সময় অদৃশ্য হয় নিমাইয়ের দল।
আমি বসে থাকি স্থির।
কখনোবা শক্ত শানে মাথা রেখে আপাদমস্তক সোজা হয়ে শুয়ে পড়ি-
আকাশ দেখি, দেখি পূর্ণিমা।
অন্ধ রাতে তারাগুলো যেন আমারই মতো একা হয়ে যায়।

খানিক বাদে উঠে পড়ি।
নদীর তীর ধরে হাঁটতে থাকি দিগন্তের পানে।
চকিতে মনে পড়ে-
আদতে দিগন্ত বলতে তো কিছুই হয়না!
আকাশ কখনোই মাটিকে ছোঁয় না।

থমকে দাড়াই-
পেছন ফিরে বাড়ির পথ ধরি।
প্রস্তুতি গ্রহণ করি-
আজও আমায় ঘুমানোর অভিনয়ে যেতে হবে,
বহুকাল আমাকে ভালো থাকার অভিনয়ে থাকতে হবে।

নজরুল নিবাস, রাকুদিয়া।
১০ আগস্ট ২০২৪