ছয় মাসেরই ছোট্ট মেয়ে
শীর্ণ  শরীর যার-
সুশীল মানুষ নামের পশু
বানালো তাকেও শিকার।
ছোট্ট শিশু অথচ তারা
বেশ তাগড়া যুবক-
ব্লেড দিয়ে যৌনাঙ্গ কেটে
করলো তারে ভোগ।

নির্বাচনের প্রচার কাজে
কত শত জোট-
নেতা কয়েক গেল সেথায়
চাইতে একটা ভোট।
কিসের জন্য যেন হঠাৎ  
বাধালো ঝামেলা ঝঞ্ঝাট,
পিতা-পুত্রকে সামনে বেধে রেখে
কাপালো মা-মেয়ের খাট।

স্বামীর সাথে ঘুরতে গেল সাভার
জাহাঙ্গীরনগর  ভার্সিটি -
হটাৎ ক'জন যুবক এসে বলে,
আমরা ক্ষমতাসীন পার্টি।
চোখের সামনে নিমিষেই যেন
ঝরলো আষাঢ়ে বর্ষণ-
মশাররফ হলে বাধা রইলো স্বামী
বউ হলো গণধর্ষণ।

রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল হেটে
একলা একটা মেয়ে ,
সোনার ছেলেরা জাপটে ধরলো
অবলা অসহায় পেয়ে।
চারদিকে চেয়ে দেখে রাস্তার
কেউ নাই কোন খানে,
তুলে নিয়ে তারে করলো গনধর্ষণ
হিংস্র থাবায় হেনে।

এক জায়গায় এক ধর্ষিতা গেল
চাইতে ন্যায় বিচার,
বিচারক ও তারে করিলো ধর্ষণ
সুযোগে সদাচার।
কোন সাহসে চাইবে আবার
বিচার কারো কাছে,
বিচারকের বিচার করার মতো কেউ
এই সমাজে কি আছে?

আরও কত ভুরি ভুরি খবর
বাতাসে ভাসছে রোজ
ধর্ষকেরা চুষে খাচ্ছে  দেশটা
কেইবা নিবে খোজ।
বাংলাদেশে বাস করিতে হইলে
শুনতেই হবে এসব-
শুনেই থাকো, অধিকার নাই
দেয়ার কোনো জবাব।

ধর্ষকেরাই শাসক-শোষক
তারাই মহান নেতা,
সমান অধিকারের লোভ দেখিয়ে
খোলে নারীর ফিতা।
স্বাধীনতা নামে দিল সুশীল সমাজ
অশ্লীলতার দীক্ষা,
কত মা বোনের রক্তাক্ত স্তন দেখিয়া
হইবে মোদের শিক্ষা?

এমন রাষ্ট্র গড়ার তরেই বুঝি
হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ -
দেশের তরে মরলো কত শত
আবাল-বনিতা-বৃদ্ধ।
এমন স্বাধীন দেশের জন্যই
সম্ভ্রম দিল কত মাতা,
মা হারালো বোন হারালো
এদেশের হাজার পুত্র-ভ্রাতা।

স্বাধীন দেশের স্বাধীন মানুষ আমরা
গোটা বিশ্ব জানে,
স্বাধীনতার স্বাদ যে আজও পাইনি
তা ক'জনই বা মানে?
এই যদি হয়  স্বাধীন জীবন,
মুক্ত স্বাধীনতা -
তবে এর চেয়েও ভালো ছিলো
দাসত্বের পরাধীনতা।