স্টলে জিজ্ঞেস করে যখন পরাস্ত হলাম তখন পশ্চিম আকাশের সূর্যটা আর দেখা যায় না। গোধূলি লগ্ন তখন আঁধারে মগ্ন হতে চলেছে। মনটাও একটু বিষণ্ণ হয়েছিল তখন ফোন করলাম প্রিয় কবি ও সম্পাদক নাজমুল হুদা সাহেব কে। তার কন্ঠটা পেয়ে আঁধারেও আলোর সন্ধান পেলাম। কিন্তু তিনি ঠিক যেখানে ছিলেন সেখানে গিয়ে কাউকে চিনতে পারলাম না।ঘটনাটা বীভৎস হতে চলেছিল। হঠাৎই চোখ পড়ল চেয়ারে বসে থাকা সেই মানুষটিকে-যিনি সব অবস্থাতেই একজন কলম সৈনিক। কোন বাঁধাই তাকে বাঁধতে পারে না। আমি এক বিন্দু দেরি না করে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বল্লাম কেমন আছেন স্যার? তিনি ক্রাচে ভর করে উঠে দাঁড়ালেন। আমি অবাক হয়ে গেলাম আর যতগুলো ভাল লাগা থাকতে পারে তা অনুভব করার চেষ্টা করলাম।তিনি আর কেউ নন বাংলা কবিতার আসরের গুরু কবি ‘কবি হুমায়ুন কবীর’ স্যার।
সঙ্গে সঙ্গে কবি নাজমুল হুদা হাত বাড়িয়ে দিলেন-আমি আমার পরিচয় দিলাম। তিনিও পরিচয় দিলেন এবং অন্যদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। খুব ভাল লাগলছিল মুহুর্তটা।
বেশ কিছুক্ষণ কথা বলা ও ছবি তোলার পর আমাদের ফেরার পালা চলে এল। তখনি হাতে পেলাম ১২টি কাব্যগন্থ। সেটা যে কতটা ভাল লাগছিল তা বলে বুঝাতে পারব না।
কবি নাজমুল হুদা সাহেবের উদ্যোগে ও সম্পাদনায় ১৬ জন কবির ৬৩ টি কবিতা নিয়ে আলোর মুখ দেখল কবিতা সংকলন “কাব্য সমারম্ভ” যেখানে আমার ও চারটি কবিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাই খুশিটা সন্ধ্যে বেলা হলেও ভোরের আলো ফোটার মতই অনুভূত হচ্ছিল।