-তুমি নাকি কবিতা লেখ?

কে বল্ল তোমায়?

-এইতো সেদিন কাগজে দেখলাম। তুমি যে কবিতা লেখ তা কবিতার “ক” বুঝ তুমি?

“ক”!!

-হ্যা, হ্যা কবিতার “ক” বোঝ? মানে কবিতার প্রাথমিক জ্ঞান কি আছে তোমার?

কই না তো। তাছাড়া আমি কবিও না কবিতা লিখতেও পারি না।তুমি এত রেগে যাচ্ছ কেন?

-রেগে যাচ্ছি তোমার কির্তী দেখে।জানো না কিছু কবিতা লিখতে বসে গেছ।

দেখ হঠাৎ করে মনের ভিতর কিছু কথা বাজছিল তাই কাগজে টুকে রেখেছিলাম। আমার দুষ্টু মেয়েটা সেটা পেয়ে সারাবাড়ি মাতিয়ে দিল।চুরি করে ওর নিজের নামে কাগজে পাঠাল। তাতেই কি আমি কবি হলাম।আমার ওই আবোল তাবোল কথা যদি কবিতা হয় তা হলে কি আমি কবি?

-দেখ তুমি কবিতা লেখার দুঃসাহস দেখিও না। শেষে শিব গড়তে বাদর হবে কিন্তু। আগে কবিতা জানো, পড়ো, বোঝ তারপর লেখার চেষ্টা কর। তুমি কি জানো ধ্রুপদী, ত্রিপদী কি? নাম শুনেছ কখনো? জানো কবিতা কত প্রকার কি কি? কিচ্ছু জান না ।এটা জাদুর প্রদীপ না যে ইচ্ছা করলেই কবি হয়ে যাবে। সাধনা চাই সাধনা।কবিতার মানে বুঝা চাই বুঝলে?
তাল, লয়, সুর, ছন্দ এসব জানতে হয়।সাহিত্যের রস বুঝতে হয়।শেক্সপেয়ারের নাম শুনেছ কনোদিন? মিল্টনের লেখা পড়েছ? রবীন্দ্রনাথ ক’বার পড়েছ? তোমার সাথে এত কথা বলে কি হবে।একজন কবিকে কত কি জানতে হয় জানো? গোটা জগৎকে জানতে হয়। জলে, স্থলে, নভে কোথায় কি আছে সব।তুমি কি তার খোজ রাখ? মাঝখান দিয়ে কবিতা লিখি। আমি কবি।