পড়েছি আমি নকশী কাঁথার মাঠ
শুনেছি কত গল্প।
কিন্তু আজকের নকশী কাঁথা...
সেটা একটু হলেও ভিন্ন

কত সুখ কত দুখ
লুকিয়ে থাকে প্রতিটি সুঁচের ফোঁড়ে
কত সুতা এক হয়ে যায়, কত
ব্যথা গান গেয়ে যায় কে তার হিসাব করে।

এই নকশী কাঁথার হিসাব ও কেউ
করেনি কখনো।

রিমঝিম বর্ষায়-
দাওয়ায় বসে প্রতিটি সুঁচের ফোঁড়ে
নিজের কত হাসি ঝরেছে কান্না হয়ে।

নকশী কাঁথার কারিগর নেই আজ
তবু কাঁথাটা রয়ে গেছে
নকশী হয়ে।
শত সুখের, শত দুখের  সাক্ষী হয়ে।

কাঁথাটি হাতে পেয়ে তাই
মনে পড়ে গেল সেই যাদু হাতের
নির্মল স্পর্শ।
কত মমতায় আগলে রেখেছিলেন
আমায় আমার “মা”

আজ তিনি নেই
রয়েছে স্মৃতির নকশী কাঁথা

অপূর্ণতায় হাহাকার করে ওঠে
বুকের মাঠ-
তাই এই নকশী কাঁথা একটু আলাদা।

তারিখঃ ২০।০২।২০২০
ঢাকা।