চল্লিশ পার হওয়া বয়সটা,,,বড়ই বিস্ময়কর
বড়সরো পরিসর পেরোনো জীবন,
যাপিত জীবনের গল্পটা কেমন জানি!
অগাছালো, এলোমেলো,,
পাওয়া না পাওয়ার হিসাব
অপমান, অবহেলার হিসাব;
কড়ায় গন্ডায় মিটিয়ে দিতে চায়।
কিন্তু বাঁধাটা ও ভেতর থেকে,
শরীর আর মন যেন ভিন্ন সত্ত্বা।
রোগ শোক বাসা বাঁধানো শরীর বিশ্রাম চায়,
কিন্তু চলন্ত ট্রেনের গতি কি রোধ করা যায়?
কতোটা পথ পাড়ি দিয়ে এলাম,
কত জীবন রেখে এলাম!
শৈশবের ধুলোবালিছাই, কৈশোরের দূরন্তপানা
যৌবনের কতো যে সুখস্মৃতি,,
কি আশ্চর্য!!
ঐদিনগুলো আর ফিরে আসবে না,
মানে মৃত, শৈশব, কৈশোর,যৌবন
এখন পড়ন্ত বিকেল,,
এখন আর মনের খবর রাখি না,
শরীর আর মন দুটো আলাদা হয়ে গেছে,
ভাঙ্গা শরীরের যত্ন নেবার সময় নেই,
আর মন,,,সে তো বিলাসিতা।
তবু ও কোথায় যেন ডাহুক ডাকে?
কোথায় যেন ঘুঘু পাখির কান্না শুনি!
শ্রাবনের শেষ বিকেলে শরত যেন সম্মুখে ঐ
কোথায় যেন ক্লান্তি লাগে?
কোথায় যেন কষ্ট লাগে?
ভিড়ের মাঝে ও একা লাগে!
চল্লিশ পেরোনো জীবনটাকে
নিজেই নিজের বোঝা লাগে।।