মেয়ে আবার মানুষ নাকি!
মেয়ের আবার সাধ জাগে যে! মেয়ে আবার কান্না করে!
মেয়ে আবার দহন জ্বলে!
মেয়ে আবার স্বপ্ন দেখে!
অলীক স্বপ্ন ! রাজপুত্র ঘোড়ায় চেপে নিবে এসে?
মাঝদুপুরেই ক্লান্ত বসে:
সুতো কাঁটা বুড়ি বুঝি গল্প করে ।
মেয়ে তোমার সাধ যে বড়ো!
দম থাকলেই মানুষ বুঝি?
মানুষ হওয়া এত্তো সোজা...
কি আছে যে মানুষ হবে?
ঘড়ার জলে পূর্ণ পাত্র,
দীঘির জলে সাঁতার কেটে,
ভাবছো বুঝি পাড়ি দিলে।
ওরে বোকা;সীমানা যে বাঁধা আছে।
দৌঁড়ে যাবি?
সামনে যে তোর প্রভু আছে।
পিছনপানে ফিরে যাবি?
মহাজন দাঁড়িয়ে আছে।
মেয়ে তোর হুঁশ আছে?
কেমন করে বেহুঁশ হবি।
মেয়ে তোর তাল আছে,
কেমনে তবে বেতাল হবি?
মেয়ে তুই মানুষ হবি?
চড়ক পথে উল্টো যাবি!
মেয়ে তুই ইচ্ছাঘুড়ি,
সবখানেই ঘুরবি মরে।
সবখানেতে ডাকবে তোকে,
প্রয়োজনে আলতা চুড়ি,
চাস যদি তুই আরো পাবি
ফটকের ঐ চাবিখানি,
ভাবিস না তুই মালিক হলি,
প্রহরীর দায়িত্ব পেলি।
মেয়ে তুই মানুষ হবি!
তুই বরং দাসই থাক,
কল্পলোকের রানী হয়ে...
এ জন্মের মানুষের সাধ
পরের জন্মে মিলিয়ে নিস।
আবার যদি ফিরে আসিস
একবার নয়!! শুধু মানুষ হবি!
এ জন্মের মেয়ের তকমা,
পরের বারে ঘুচিয়ে দিস।।।