বাইরে থেকে যা দেখছো,সে কালো
ভাদ্রের আকাশের মতো নয়,
ভাদ্রের আকাশে তবু খানিক আলো মেলে।
এ কালো, ভীষণ কালো, নিকষ অন্ধকার।
চৈত্র দহনে তপ্ত খরার ন্যায় বুভুক্ষে,
পত্র পল্লবহীন, ছায়াহীন, কর্কশ তেপান্তর।
কালো মেয়ের বাইরে যত কালো,
ভেতরে তার অন্তহীন অন্ধকার।
হবেই না কেন?
এ জগত শিখিয়েছে, কালো মেয়ের এপার ওপার
সবটাই তিমির রাত্রি, আঁধার কালো মেঘ।
সবকিছুতেই অমঙ্গলের অমোঘ আঁধার।
কালো মেয়ের গতির চেয়ে গতই মঙ্গল !
যতই মাজুক,যতই ঘষুক,যতই থাকুক গুনের ভান্ডার!
কালো মেয়ের দন্ডি কাটাই ভার।
সবাই বলে,সবাই শোনে, সবাই মানে
কালো তা সেই যেমন গুনের হোক,
যাবে না তার আঁধার কালো রঙ।
শুধু কেউ জানে না,কেউ বোঝে না
কালো মেয়ের হ্নদয় গহীনে,
নাম যে তার সদাই বাজে, শ্যাম সুন্দর হে।।