বছর চার,দশ কিংবা কুঁড়ি নয়,
বিগত দিনের কথা...
কতো যে কথার ফুলঝুরি ছিল
বলতে শুরু করলে থামাতে হতো শ্রোতার।
আর এখন! বক্তা আর শ্রোতা মুখোমুখি!
কে শুরু করবে?
ঈদের জামা, জুতা লুকিয়ে রাখা সেই দিনের কথা,
মনে পরে! আহ্!
কি ভীষণ আনন্দ ছিল লুকানোর।
আর আজকাল, কতো কিছু নতুন পরে থাকে।
লুকিয়ে রাখা তো দূরের কথা,
দেখবার জন্য ও সময় নেই।
আসলে কি সময় নেই!
নাকি নষ্ট সময়ের ভিড়ে হারিয়ে গেছে আনন্দগুলো।
গত হওয়া দিনে বৃষ্টিতে ভিজতে কতটা বকুনি খেতাম,
আর আজ; বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লেগে যাবে।
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গের মত মনে হয়,
এই তো সেদিন বাঁটা মেহেদী হাতে লাগিয়ে ঘুম;
সকালে চাদর নষ্ট হওয়ার জন্য কি শাস্তি মায়ের।
বিগত দিনের সকল চাওয়া পাওয়া ছিল,
শুধু আনন্দের আর সুখের।
বর্তমানে সবই আছে! তবে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য।
ভালোবাসা কুঁকড়ে যায়, প্রত্যাশার কাছে।
শব্দগুলো অভিমান করে কাটাকুটির ভয়ে।
টং ঘরে বসে চা খাওয়া হয় না,
হাইজেনিক আর লোকলজ্জার ভয়ে।
পূর্ণিমা রাতে আর জোছনা দেখা হয় না,
তারার ভীড়ে; হারিয়ে গেছে!
শ্রদ্ধার বিপরীতে ঘৃণা,ভয়ের বিপরীতে ভালোবাসা
মুখোমুখি সম্মুখ যুদ্ধে।
এখন চাকরীটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো!
হ্নদয়ের গহীনে প্রতিধ্বনিত হয় না।
ভালোবাসা, চাওয়া পাওয়া সব,সবই আছে
শুধু বিগতের কাছে বর্তমান ম্রিয়মাণ।
বিরামহীন পথচলায় হঠাৎ কেউ পিছু ডাকলো কি?
তোমার নাম টা...
মনে পরে না, মনে পরতে নেই
যা গত তা বিগতই রয়ে যায়।