এই কবিতাটি লিখেছি হাসান ইমতির " আমি এভাবেই তাকাই" কবিতা পড়ে অনুপ্রানিত হয়ে। এখানে প্রেমিকার পাশে সেই নারীকে টেনে আনা হয়েছে যেই নারীকে হাসান ইমতি সিদ্ধান্ত নিতে বলেছ , নারীর একটা সত্যিকারের দ্বন্দ্ব তুলে ধরেছে ইমতি খুব সুন্দর করে ... আমিও সেই সত্যকেই এখানে analysis করেছি । এই ধরনের psychological dilemma গুলোতে আমার অনেক interest আছে.
আমি নারী, আমি ওভাবেই তাকাই
যেভাবে নারী তাকায় তার প্রিয় পুরুষের দিকে ।
যেভাবে একজন সম্পুর্ন নারী চোখ রাখে কোন পুরুষের চোখে, সেভাবে।
কিন্তু নারী যখন হয়ে ওঠে প্রেমিকা
দৃষ্টি তখন লজ্জায় আনত, ভালোলাগা লুকোবার চেষ্টা ব্যার্থ বার বার
যে ব্যার্থতা নিমিষেই বুঝে নেয় পুরুষের দক্ষ্য চোখ আবার।
নিষেধের কথা বলছো ?
নিয়মের বেড়ী পরে চলেছে হৃদয় কবে বলো?
নারী কখন প্রেমিকা হয় তা সে নিজেও জানে না।
নাজুক চোখ তার ফিরিয়ে নিতে চায় বার বার
নারীর ভেতর থেকে প্রেমিকা গুমরে উঠে এক অজানা আকুলতায়।
প্রতিজ্ঞা তো অনেকের কাছেই -
কাছের মানুষের কাছে ।
জীবনের হিসেব বুঝিয়ে দিতে হয় সমাজের কাছেও।
তারচেয়েও বড় হিসেব নিজের কাছে ।
নিজের শেকলে বাঁধা জীবন বড্ড বেশি অসহায়।
আমার যত্নে সাজানো বাগান
সে তো আমারই ছোঁয়ায় নিত্য ফোঁটায় ফুল।
যা আমার সাজানো
তা এলোমেলো করি এমন শক্তি কোথায় ?
প্রেমিকা যদি হয়ে যায় নারী
শত বন্ধন জড়িয়ে ধরে তারে আস্টেপৃষ্ঠে
এও হৃদয়েরই এক নিষ্ঠুর পরিহাস ।
তোমার চোখের দংশনে ক্ষত বিক্ষত এ হৃদয়
নিঙরে নিতে চায় সবটুকু শক্তি আমার
তোমার দৃষ্টির আগ্নেয়গিরির লেলিহানে পুড়ে যেতে চায় এ উত্তপ্ত হৃদয় ।
আমি যখন নিতান্তই নারী
তোমার কামুক চোখের ভাষা অর্থহীন বলে মনে হয় ।
প্রেমিকা শুধু জানে অর্থ খুঁজে নিতে তার।
যদিও সে হেরে যায়
নারীর সুকঠিন অন্তরশাসনে বার বার।
কোন পুরুষ চোখ ভালোবাসার কথা বলে
কামুক চাহনির আড়ালে তার?
কিসের ভরসায় চোখ রাখবো তোমার চোখে
তুমিও কি বাধবে না কোন বাঁধনে আমায় ?
প্রেমিক তুমি, বেড়িয়ে আসো তবে পুরুষের খোলস থেকে এবার ।
বীর দর্পে প্রেমিক হয়ে দাঁড়াও দেখি একবার
আমি হবো তখন বন্ধনহীন প্রেমিকা তোমার ।
পুড়িয়ে দাও তোমার কামুক চোখের লেলিহানে আমায়।