প্রশ্ন নিজেকে, “এমন ভিখারির মতো জীবন কেন রে তোর ?
ভগ্ন হৃদয়।
শুন্যতায় ভরপুর কাঙালিনীর চাহনি চোখেমুখে ।
স্পর্শকাতরতায় জ্বলে উঠিস বারবার -
বড্ড অভিমানি হয়েছিস আজকাল ,বল ? ”

দ্বিধা পরিপুর্ন উত্তর, “জানি না তো ,
হারিয়েছি যে সবকিছু
কিছু কি আর আছে আগের মতো বল ?

ভয়ে কুঁকড়ে থাকি অভাবের থাবার মুখে সর্বদাই ।
ব্যাথা পাবার আগেই ব্যাথার ভয়ে কুণ্ঠিত জীবন বড় অসহায়।
রাস্তায় অবহেলিত কুকুরের মতো যে জীবন।
শতাব্দির হাহাকার তো কেবল তার কণ্ঠেই কেঁদে ওঠে বার বার।
একটু ভালোবাসা পাবার আশায়
কাঙ্গাল হৃদয়ের করুন চাহনী আহত আজ।
কান্নার সুর কারো হৃদয় ছুঁয়ে যায় না আর আগের মতো ।
প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে ভগ্ন হৃদয়ে আবার।

সবাই পালিয়ে বাঁচতে চায় যেন ।

শুন্যতা ।
বিশাল এক শুন্যতা
গ্রাস করেছে বল কোন অবেলায়?

করুণা চায় না সে কারো।
ভরা বরষায়
কেবল একটি ক্ষীণ শ্রাবণধারার অপেক্ষায় তৃষ্ণার্ত এই বুক।
করুণা দিয়ে ভিখারি কোর না এ’রে বারংবার।
সামান্য দূরত্বেও ভেঙে চৌচির যে হৃদয় ।
সে বড় অসহায়,
নিতান্তই ক্ষুদ্র ঠাওর হয় আত্মসমালোচনায় ।
কাঙ্গালিনীর হাহাকার তাই চোখেমুখে তার।
এ দারিদ্রতা যুগান্তরের সঙ্কুচিত অন্ধকারে নিমজ্জিত-
আহ ! মুক্তি দাও প্রভু।
এ দারিদ্রতা থেকে মুক্তি চায় হৃদয় ।“