অস্থিরতা যখন একদম তুঙ্গে
ঠিক তখনই পালিয়ে বাঁচতে ইচ্ছে করে ।  
কোথায় পালানো যায়-
তার পরিকল্পনা চলতে থাকে মনের মধ্যে ।
মনের সাথে মনের লড়াই -
কখনো মনে হয় মেঘেদের দেশে যাই ,
ঘন নীলের মাঝে ভেসে বেড়ালে মন্দ হতো না  
একটা স্বচ্ছ নীল ভালোলাগার স্পর্শ পাওয়া যেতো বোধহয়।

কখনো বিশাল সমুদ্রের সামনে নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে ইচ্ছে করে।
বড় বড় উত্তাল ঢেউ এসে ধুয়ে দিক সব অস্থিরতা
লুফে নিক আমার ক্ষুদ্র সত্ত্বাকে ।

আবার কখনো বা গহীন অরণ্যে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়।
যেখানে সকালে গাছেরা আড়মোড়া ভাঙতেই
সূর্য ওদের সুপ্রভাত জানায়।    
আকাশ থেকে নীল,
গাছেদের সবুজ আর ফুলেদের বাহারি রঙের মেলা সেই অরণ্যে,
সূর্যের ঝলমলে আলোতে লুটোপুটি খায় এক অদ্ভুত মাদকতা।  
সেখানে গেলে  
পাখীদের গানে ঘুম ভাঙতো রোজ-  
সকালের বিশুদ্ধ বাতাসের চুম্বন চোখে মুখে।
চোখ বুজলেই ছুতে পারি সেই অনাবিল সুখ।  

কিন্তু -
নিজের থেকে পালিয়ে বাঁচবো কি করে?
নিজের আবেগ থেকে পালিয়ে বাঁচবো কি করে ?
নিজের প্রেম বা অস্থিরতা থেকে ?
ভালোমন্দর বিচার থেকে ?
সবই তো কুন্ডুলি পাকিয়ে জমাট বেঁধে
একটা ঘা হয়ে বসে আছে ঠিক এই বুকটার মাঝখানে ।
এ থেকে পালাবো কি কিরে?
এই জমাট ঘা’টা যদি টেনে বের করে এনে
একটা অগ্নিকুণ্ডের মধ্যে ছুঁড়ে দেয়া যেতো ।  
ওর ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেখতাম আমি।

তারপর হারিয়ে যেতাম কোন এক ভরা জোছনায়
সেই গহীন অরণ্যে -
চাঁদের আলোতে গাছেদের রূপ হয় ভিন্ন  
আলো চুয়ে চুয়ে পরে সবুজ পাতা বেয়ে
সে আলোয় স্নান করতাম আমি
চাঁদের আলোয় আর প্রকৃতির সবুজে
এক নতুন ‘আমি’র শুরু হতে পারতো...

অস্থিরতা যখন একদম তুঙ্গে
ঠিক তখনই পালিয়ে বাঁচতে ইচ্ছে করে
এক নতুন আমি’কে খুঁজে পেতে ইচ্ছে করে।