প্রায়ই তোকে দেখতাম ।
৫২ নং বাসের জানালায়
তোর জোড়া চোখে দেখেছিলাম
বিভোর তন্ময়তা ।

তুই কি দেখেছিলিস আমার মধ্যে ?
আমার দীনতা তো সবার চোখেই পড়েছে ,
এমনকি আমি নিজেই নিজেকে জানতাম না
যে আমার হৃদয়ের গহীনে এত লাবণ্য !

চারদিকে যে দেখি ইঁট কাঠ পাথর এর
কি নিষ্ঠুর হাঁসি ।
ভয়ংকর ধোঁয়া অথচ কি তীব্র নকল আলো ।
আমি সূর্য ছাড়া বাঁচি কি  করে
একটু আলো ছাড়া কি করে দাঁড়াই ।
জলের তৃষ্ণা আমাকে মেরে ফেলতে চায় ॥

তবুও আমি কষ্ট করে বাঁচি ।
জলের অভাবে ধুঁকতে থাকা প্রাণে
কাঁটার বেড়ায় নিজেকেই আড়াল করি ।
ফ্যাকাশে সবুজ শরীরে
ইঁট আর পাথর আঁকড়ে কোনরকমে দাঁড়াই ।
শুকনো ঠোঁটে রঙ্গীন হাঁসি ফোটানোর প্রয়াস
চাপা পড়ে ধুলো ধোঁয়ার রাজ্যে॥

তুই মেয়ে কি দেখে থমকে গেলি
ভাঙ্গাচোরা ইমারতের কার্ণিশে গজিয়ে ওঠা
শুকনো বেওয়ারিশ গোলাপ গাছটার মধ্যে !!!