ঘুমিয়ে ছিলাম ছাদের ঘরে হঠাৎ দেখি আলো
তারায় ভরা রাতের আকাশ দেখতে লাগে ভালো
চারধারে সব ফুটছে যেন গোলাপ থোকা থোকা
কে যেন এক ডাকছে আমায় এসো লক্ষ্মী খোকা।

আলতো পায়ে বিছনা ছেড়ে দরজাটা ফাঁক করে
বেরিয়ে এলাম পুকুর ঘাটে দেখি আলোক ঝরে।
এদিক দেখি ওদিক দেখি কাউকে দেখি না
একটু আড়াল হতেই দেখি ছায়াটা আবছা ।

কেউবা যেন হাঁটছে আবার বলছে যেন কথা
অবাক হয়ে দেখি আমি রাতের নীরবতা
আমিও ছিলাম বাঁশ বাগানের খুবই কাছাকাছি
পায়ে পায়ে এগিয়ে দেখি পরির নাচানাচি।

গাইছে তারা নাচছে তারা নেই কী তাদের ঘুম
রিনিঝিনি শব্দগুলো বাজছে ঝুমুর ঝুম।
আমায় দেখে ফুলপরি এক বলল কথা হেসে
যেই না আমি ধরতে গেলাম সে গেল তো ভেসে।

বাঁশ বাগানের পাশটা ঘেঁষে কর্ণফুলির তীর
সেখানটাতে জোনাকিদের ভীষণ রকম ভীড়
পাল তোলা এক নৌকা এল আকাশ থেকে ভেসে
আমায় নিয়ে চলল নৌকা দেশের পরে দেশে।

কখন দেখি থামল গিয়ে সোনার দেশের ঘাটে
সোনায় গড়া মানুষগুলো তুলল আমায় খাটে
বলল ওরা রাজা আমি, প্রজা তারা সবে
হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙে যায় ভোর হয়েছে ক’বে?

মা ডেকে কয় কিরে খোকা আজকে এত দেরি
মাঝে মাঝে আমি এখন স্বপ্ন করি ফেরি
এমন স্বপ্ন দেখতে হলে পড়ো গল্প- ছড়া
লেখাপড়া শিখে ঘোচাও মনের জীর্ণ জরা।