ছোট্ট বেলায় যখন ছিলাম গ্রামে
সকাল বিকাল খেলছি খেলা মাঠে
ইচ্ছা হলে কাটছি সাঁতার জলে
পুকুর কিংবা চাঁনখালীর ঐ ঘাটে।
দুপুর যখন করতো খাঁ খাঁ রোদে
মা বলতো ঘুমিয়ে পড় খোকা
বাইরে আছে ভূত পেত্নি কালো
আমি তখন ভয়ে সাজতাম বোকা।
কাঁথা মুড়ে কুঁকড়ে যেতাম ঘুমে
কিন্তু কি মা যেইনা আড়াল হবে
বদ্ধ দুয়ার একটুকু ফাঁক করে
বেরিয়ে যেতাম ঘুমিয়ে কে বা রবে।
কোথায় ছিল পাখির বাসা ঝুলে
কুষি ছানা ডাকছে মাকে সুরে
সন্তর্পনে ছানা নিয়ে হাতে
মজা করছি সবুজ মাঠে ঘুরে।
লাটাই হাতে মেঘের দেশে ঘুড়ি
উড়িয়ে দিয়ে ভাবছি নিজেই উড়ি
বাড়ি ফিরলে মা বকতো রেগে
দস্যিপনায় নেইকো আমার জুড়ি।
আজকে দেখি ঢাকাই ছেলে যারা
ছুটির দিনে পার্কে যাওয়ার তাড়া
কিংবা ফ্ল্যাটের বদ্ধ ঘরে বসে
কম্পিউটার করছে নাড়াচাড়া।
এভাবে রোজ চলতে গিয়ে
হাফিয়ে উঠে খোকা
রেগে মেগে বলছে শোন বাবা,
নেই কি কোথাও একটু খেলার মাঠ
যেখান গিয়ে খেলব আমি খেলা।
তোমরা যারা গ্রামের ছেলে ছিলে-
গল্প করো খেলছো মাঠে মে-লা
সে সুযোগ কি আমরা পাবো না
এক্ষুনি এর জবাব দাও, বাবা-মা।