গভীর রাতেও ঘুম আসেনা ভাবছি কি যে করি
ভেবে ভেবে পায় না কিছু ধুত্তরি ধুত্তরি
পিন্টু কাঞ্চন সৌরভ ধ্রুব কেউ জেগে নেই কেউ
এগিয়ে গেলাম পদ্মাপাড়ে দেখছি নদীর ঢেউ।
ঢেউয়ের পরে ঢেউ আসে যায় জলের নুপূর বাজে
জলের উপর নৃত্য করে জলকুমারি সাজে
নাচতে নাচতে হঠাৎ উধাও লাগছে চোখে ধাঁ ধাঁ
কিন্তু সে তো মাস্তুলেতে আগেই ছিল বাঁধা।
ছোট্ট একটা নৌকা এলো আকাশ থেকে ভেসে
কে যেন এক নৌকোয় বসে ডাকছে আমায় হেসে
দু’হাত বাড়ায় তুলল আমায় সে সেই নায়েরই পর
তুফান বেগে চলছে নৌকা আসমানের উপর।
মেঘের রাণী দেখে আমায় জানায় সুপ্রভাত
রাশি রাশি আলোর বানে ফুরিয়ে গেলো রাত
পায়ে পায়ে যাই এগিয়ে দেখি চাঁদের বুড়ি
চরকা নিয়ে বসে আছে বয়স নাকি কুড়ি।
চাঁদের পাহাড় দেখব বলে এগিয়ে গেলাম যেই
পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই কেউ নেই
ভয়ে আমার শরীর কাঁপে কোথায় এলেম আমি
মা বলে এক চিৎকারেতে তালপুকুরে নামি।
সামনে দেখি দাঁড়িয়ে আছে আমার ছোট কাকা
আমায় নাকি ঘরের ভেতর যাচ্ছিল না রাখা
আবোল তাবোল বকছি শুধু বিগড়ে গেলো মাথা
হন্য হয়ে খুঁজছি নাকি কবিতারই খাতা।
খাতা পেয়ে শান্ত হলাম লিখছি রাতের পদ্য
সারা খাতায় ছড়িয়ে গেল রাতের স্বপ্ন সদ্য।