বৃষ্টি মুখর এক দুপুরে জানলা দিয়ে দেখি
অনেক দূরে কারা যেন ভিজতে থাকে সে কি
বৃষ্টি দেখে মা আমাকে রাখলো বেঁধে ঘরে
হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া আসে আম পড়ে আম পড়ে।
টিনের চালে নূপুর বাজে রিনিক ঝিনিক সুরে
মনটা যেন প্রজাপতি যায় হারিয়ে দূরে
চোখ ফেরাতেই হঠাৎ দেখি রবীন্দ্রনাথ বসা
বলল খোকা তোমার দেখি ‘অমল’রই দশা !
দই ওয়ালা কি হবে তুমি নাকি নায়ের মাঝি
কি হব কি ভাবতে গিয়ে ‘বীরপুরুষ’ যাই সাজি
কল্পনাতে মাকে নিয়ে যাচ্ছি একা একা
আমার সাথে দস্যিগুলোর সত্যি হলো দেখা।
কিন্তু তারা রবীন্দ্রনাথকে দেখেই অবাক হয়
ঢাল তলোয়ার ফেলে অমনি মানল পরাজয়
এমন দৃশ্য দেখেই আমি হাসতে হাসতে খুন
মা দেখে কয় কি রে খোকা একটু কথা শোন
এমন পাগল ছেলে বলে দেয় মা গালে চুম
বৃষ্টি ভিজে ক্লান্ত আমি দুচোখ ভরে ঘুম
ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেলাম কিচ্ছু জানি না
মা বলে কি আমি কোনো বাধা মানি না।