ক্ষমা করে দিও মাগো দেরী হয়ে গেছে অনেক
মুখোশধারী এক বেঈমানের সাথে
আঁতাত করে শূই হয়ে ঢুকেছিল তারা আমার লাল সবুজ এই স্বাধীন বাংলায়।
সেইদিন আমরাও সমগ্র জাতির সাথে ছিলাম পিতাকে হারানোর শোকে নিস্তব্ধ।
কিছুই করতে পারিনি, রুখতে পারিনি সেদিন
তবুও আমরা ভুলিনি সেই বর্বরতা।
জাতিকে পিতৃহীন করে বেইমান ঘাতকের দল
সেদিন পৈশাচিক আনন্দ করেছিল
লাখো শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে এ দেশে
অবারিত করেছিল শকুনের বিচরণ।
যারা এই বাংলার স্বাধীনতাকে কলঙ্কিত করে
পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়!
যারা এই দেশের বীর সন্তানদের অপমান করে
খামচে ধরে লাল সবুজ পতাকায়!
যারা ট্রাকে, জাহাজে ভর্তি করে মারণাস্ত্র এনে সমৃদ্ধ করতে থাকে নিজেদেরকে!
মুখোশধারী দালালরা গো বেক বাংলাদেশ বলে
তাদের হাতেই তুলে দেয় ক্ষমতা!
পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে ধেয়ে আসে আপামর জনস্রোত।
ভাইয়ের রক্ত, মা-বোনের সম্ভ্রমের বদলা নিতে
ঐক্যবদ্ধ হয় দেশ প্রেমিক জনতা।
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতাকে
ধরে রাখতে জেগে ওঠে বাঙালি।
শক্ত হাতে চেপে ধরে ফনা তোলা সাপের ঘারে,
উড়ন্ত শকুনের ঔদ্ধত্য ডানায়।
অতঃপর তারা মুখোশধারীদের আঁচলের তলে
নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পায়।
আর সেখান থেকেই তারা নির্বিঘ্নে চালিয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ ও দেশবিরোধী চক্রান্ত।
ফাল হয়ে বের হওয়ার আশে দেয় মরণকামড়
ভেঙে যায় বাঙালির ধৈর্যের বাঁধ।
অবশেষে আসে বাঙালির কাংখিত মাহেন্দ্রক্ষণ
ভেঙে দেওয়া হয় শকুনের ডানা।
তোমার উপর দাঁড়িয়ে এখন থেকে আর কেউ
তোমাকে চোখ রাঙাতে পারবে না
লাখো শহীদের রক্তের দান প্রিয় এই মাতৃভূমি
এখন কলঙ্ক মুক্ত। জয় বাংলা।
*****
রচনা কালঃ ১ আগষ্ট ২০২৪