ওরে বেশ্যা, ওরে খানকি!
তুই চিবোস কি রোজ পান কি?

তোর ঠোঁট করেছিস লাল
আবার লাজ হীন দুটি গাল
বেঢপ পোষাকে নগ্নতা ঢেকে
অঙ্গে আঁকিস উলকি?

বদলে নিত্য চুলের বাহার
অপেক্ষাতে থাকিস কাহার
রূপের ঝলকে চোখের পলকে
করছিস আহ্বান কি?

ওরে বেশ্যা, ওরে খানকি!
তুই চিবোস কি রোজ পান কি?

বাইরে থাকিস দিন কি রাতে
বেসামাল হয়ে ফিরিস প্রাতে
প্রাণে কি তোর লাগেনা ডর
দেখে আগুনের ফুলকি!

বিলাশিতা করে বিলাস দেহ
চাইলেই তোরে পায় যে কেহ
যার তার সাথে নৃত্যে গীতিতে
করিস সুখের ভান কি?

ওরে বেশ্যা, ওরে খানকি!
তুই চিবোস কি রোজ পান কি?

কতো অসহায় জীবনের তরে
নিঃস্ব হয়েছে তোর ফাঁদে পড়ে
এ সকল পাপে পড়বি কি তাপে
আছে তোর অনুমান কি?

তোর ইশারায় পাড়ার ছেলেরা
দিনে দিনে হয়ে উঠছে বেয়ারা
রুপের বাহানা যেদিন রবে না
খাটবে তোর অভিমান কি?

ওরে বেশ্যা, ওরে খানকি!
তুই চিবোস কি রোজ পান কি?

টাকায় মোড়ানো রক্ত ভেলায়
স্বপ্ন গুলোকে ভাসিয়ে হেলায়
সুন্দর সব আগামীকে তোর
নিজেই ধ্বংস করেছিস কি?

সময় নদীর সুগভীর খাদে
পরেছিস মায়াজালের ফাঁদে
ক্ষনিকের মোহে যত ভুল তোর
করবি তার অনুতাপ কি?

ওরে বেশ্যা, ওরে খানকি!
তুই চিবোস কি রোজ পান কি?
*****

রচনা কালঃ ১৭ জুন ২০২৪