ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বর
শুধু বাড়ি নয় মুক্তির বাতিঘর
মায়াবতী উত্তাল এক মহাসাগর
নিপীড়নের প্রতিবাদে বজ্রকণ্ঠস্বর
যেথায় বসে স্বাধীনতা দেখা যায়
শোষিত এই বাঙালির আশ্রয়
নতুন এক জাতির পরিচয়।
ওরে হিংস্র জানোয়ার
তোরা নয় তো এ বাংলার।
লাল সবুজের মুখোশ পরে
আগুন ধরালি জনকের ঘরে
মুছিয়া দিতে বাংলার ইতিহাস।
কাদের ইশারায় এই জাতির
তোরা করলি সর্বনাশ?
কাকে করেছিস খুশি?
এখনো যারা হিংসায় মরে
আনন্দ দিলি তাদের অন্তরে
ধ্বংস করে সোনার বাংলাদেশ!
লাল সবুজের বুকটা ছিঁড়ে
চির শত্রুর অবনত মুখে
ফুটালি হাঁসি বেশ!
কেনো এতো বিদ্বেষ!
কোন রোষে এই বুকে বসে
নীল ছোবলে করলি নিঃশেষ?
এখান থেকেই দিয়েছিল ডাক
জীবনটা চলে যায় তবে যাক
আনিতেই হবে স্বাধীনতা।
এটাই কি সব ব্যথা?
পুড়ে কেনো হলো ছাই?
ডায়রি কলম আর সব বই
স্বাধীনতা দেখা চশমাটা কই
টেলিফোন সেট হাতের ঘড়িটা
শখের পাইপ ও এ্যাশ দানী টা
ছাই হলো ঘরে যত আসবাব
কে দিবে তার জবাব?
করেছিস তোরা ক্ষত!
মায়ের হাতের তৈজস যতো
শেখ রাসেলের বেবি সাইকেল
আল কুরআন ও শখের রেহেল
এ জাতির শত স্মৃতিবিজড়িত
গর্বিত স্বাধীনতার ইতিহাস
মুছিতে কি তোরা চাস?
ওরে দস্যু লুটেরার দল
শুধু একবার আমায় বল
তোরা কি পেলে অবশেষে?
স্বাধীনতার এই স্মৃতিময় ঘর
তোদের কাছে জগদ্দল পাথর
ধ্বংস করিতে বিজাতি লয়ে
এলি কাপুরুষ বেসে।
একবার আমায় বল।
বাঙালির আশার বাতিঘর টা
তোদের নিভানো কি ছিল ছল?
কোটি বাঙ্গালীর হৃদয় অঞ্চলে
যে বাতিটা রবে চির ঝলমলে
কেমনে নিভাবি সেই বাতিটা
আছে কি তোদের বল?
*****
রচনা কালঃ ২০ আগষ্ট ২০২৪