এক আকাশের সাতটি তারা আমরা ভাই-বোন
সকলের তরে সকলে মোরা এক প্রাণ এক মন।
বলছি আমি সকলের কথা যাহাকে যেমন পাই
সত্যি বলছি আমার এ কথায় বাড়তি কিছু নাই।
  
আসমান সম হৃদয় তাহার যেন সকলেরই পিতা
মোদের ছেড়ে ভাবেনি কভু নিজের সুখের কথা।
হাসিখুশি সদা রসের ফুয়ারা সকলের আপনজন
সহেনা তার রাজভোগ কভূ ভুখা রেখে পরিজন।

ঘরে ও বাহিরে সদা দানশীল যেন সে হাতেম তাঈ
তাহারই মতন দরদী এমন কোথা গেলে বল পাই।
সকলে তারে ডাকি যে দিদি আসলে মায়ের মতো
তাহারই সাথে ভাগাভাগি করি সুখদুঃখ আছে যত।

পরহিতৈষি ভাই যে আমার সকলের-ই প্রিয় মুখ
খেলাধুলা আর রাজনীতিতেই তাহার সকল সুখ।
চেনা অচেনা যেকারো বিপদে তাহারে দেখি পাশে
সংসারে তার থোরাই কেয়ার নিজসুখ নাহি আশে।

সহজ সরল বোনটি আমার নাই কারো সাতেপাঁচে
ঝুট ঝামেলা এড়ানো গেলেই যেন সে প্রাণে বাঁচে।
চাওয়া ও পাওয়ার হিসেব কষেনি স্বল্পেই সদা সুখ
হাস্য বদনে নেইকো কখনো কারো প্রতি অনুযোগ।

যখন-ই যেখানে শোভ সমাবেস তিনি যে মধ্যমনি
আদরে শাসনে তাহার কাছে চিরদিন আমি ঋণী।
আর্তের সেবায় তুলনাহীন ভাইটি মোর চির সবুজ
স্বপ্ন বিলাসি মিশুক অতিশয় সুর সাধনায় অবুঝ।

কবি গুরুর শ্যামা মেয়ে বোনটি যে মোর জান
মিশুক সুবোধ মিষ্টি ভীষণ ধৈর্য তার অফুরাণ।
বিদ্যানুরাগী কলহ বিমুখ সে মোদের সরস্বতী
নির্লোভ মনে শিক্ষায় শুধু খুঁজে জীবনের গতি।

কি আর বলবো নিজের কথা খেয়েছি সবার নুন
সকলের মাঝে নিজেকে খুঁজি গাই সকলের গুণ।
হাসি খুশি মুখ দেখলে সবার ভরে ওঠে এই বুক
সাত তারার এই বন্ধনে পাই কোটি জনমের সুখ।

নীল গগনের সাতটি তারায় অপরূপ এক তোড়া
একই বাগানের ফুল যেন সব একই বৃন্তে জোড়া
আমাদের এই বন্ধনে যেন কভু নাহি আসে ক্ষয়
চিরদিন যেন থাকে এ বাঁধন ওগো প্রভু দয়াময়।
*****

রচনা কালঃ ১১ মে ২০১৫