এঘর ওঘর রান্না করি
সকাল থেকে রাত,
হাসি মুখে ক্ষুন্তি হাতে
মাছ মাংস ভাত।
নূন ঝাল টক মিষ্টি
সঠিক হওয়া চাই,
তার বদলে মালিক থেকে
মাস মাহিনা পাই।
চোখ রাঙ্গানো বকা ঝকা
লেগেই আছে প্রায়,
সবসময়ই ভয়ে থাকি
চাকরিটা না যায়।
দাদা খাবেন বিনা তেলে
খোকন ভাজাভূজি,
ওদের খুশি করতে হবে
এটাই যে মোর রুজি।
বৌদি আবার হেল্থ কনসাস
খাবে বড়ই মেপে,
না খেয়েই মুখে মাখে
শসা লেবু পেঁপে।
খুকির খাওয়া অনিয়মের
বায়নাক্কা ঢের,
বুঝবে এসব ভবিষ্যতে
পাবে তখন টের।
পার্টি কিংবা নিমন্ত্রণে
আসেন আপনজন,
তাদের লাগি অনেক পদের
বিপুল আয়োজন।
ইলিশ মাছের ভাপা করি
চিংড়ি মালাই কারি,
মুরগী পাঁঠার ঝোলও করি
পোলাও ভরা হাঁড়ি।
গন্ধে আমার প্রাণটা কাঁদে
চক্ষু ভরে জলে,
ঘরে আমার ক্ষুদার জ্বালায়
কাঁদছে যে মোর ছেলে।
স্বামী আমার শয্যাশায়ী
বেকার অনেক দিন,
পথ্য ঔষুধ খরচ বেজায়
তাইতো অনেক ঋণ।
ছিলাম আমি গৃহবধূ
আজকে আমি দাসী,
সমাজ আমায় নাম দিয়েছে
রান্না করার মাসি।
ইকারাস