পঞ্চু হতে পঞ্চানন
লম্বা যাত্রা বেশ,
খাল-বিল-কাটা আছে,
আছে প্রতিকুল পরিবেশ ।
কত ব্যাটায় লটকে দিলাম,
কত খাট্লাম জেল ।
আজকে তবেই চড়ছি আমি,
ফাস্ট কেলাশ রেল ।
ছোটোবেলায় দেখেছিলাম
বাবার সাথে গেয়ে,
জমিদারের আনত জুতো
বাবা হাতে বইয়ে ।
লাগলে ধূলো ঝাড়তে হতো,
কাধের গামছা দিয়ে ।
পান থেকে চূণ খসলে বাবার
পিণ্ডি দিত চটকিয়ে ।
তার-ই নাতি আজকে
বাবু পঞ্চাননের পি এ
আমি আপিস এলে উটে দাড়ায়
অভিবাদন দিয়ে ।
কত এল কত গেল,
কত হল ভোট,
মারামারি, ধরাধরি,
কত অনেতিক জোট ।
আজকে সবাই পঞ্চাননকে
এক ডাকে চেনে ।
আমার মত মস্ত নেতা,
পাবে না এখানে ।
বাঘে গরুতে জল খায়
এসে এক ঘাটে ।
পঞ্চাননের মত নেতা,
পাবে না তল্লাটে ।
পড়াশুনা চাই না কিছু,
নেতা হতে হলে ।
চ্ড়া মেজাজ, উচু গলা,
কাধে গোমের থলে ।
''গো'' পড়বে ''বো'' পড়বে
তোমার উপর সেটা ।
কিন্তু পঞ্চানন-কে আঙুল তোলে,
নেই এমন বাপের বেটা ।।
পঞ্চায়েতে বসে বসে,
আজ বিচার করি বেশ ।
খুন-ধষণ-রাহাজানি,
এসব ছোটো মোটো কেস,
টাকা দিলেই রফা দফা,
এসব ছোটো মোটো কেসে ।
না মানলে, ''পঞ্চু'' হতে বাধ্য হব
দোষ নিও না শেষে ।