তুমি আমি আর ঘর,
এক হইনি ... অতঃপর,
এই ত্রিতয়ী নদীর মোহনাতে তাই
অভিমানী বালুচর।
তুমি আপন আধারে গৃহী,
হৃদয়ে সংসারী সমারোহী,
তবু ছলে মোহে শ্লোকে আমারেই দাও
তাড়না বহুব্রীহি।
আমি কি জানি কি খুঁজে লীন,
ঘরে অস্থির ... বেদুঈন,
খোলা প্রান্তরে দিকভ্রান্ত, অথচ
অতলে ভাবনাহীন।
ঘরের অসংখ্য অভিযোগ,
তবু মনে তার দুর্ভোগ,
জানালায় জমা পুরু ধূলে পোষে
অবহেলা, দূরারোগ।
তুমি আমি ... আরণ্যক,
কখনও পায়রা কখনও বক,
পথে শুই আর জলে হেঁটে ডুবি
ভুলে নকশা যুক্তি ছক।
তবু ঘর ডাকে, এসো ফিরে,
অদেখা অজানার সূতো ছিঁড়ে,
দেখো অনুযোগ কতো আমার দেয়ালে
তোমাদের প্রেম ঘিরে!
আমি তবুও যে মরি দ্বিধায়,
তোমার বিবাগী দৃষ্টি সুধায়,
বলো ... চলো ফিরি, তবু নিভৃতে দাও
অমৃতের লোভ ক্ষুধায়।
এমনই দ্বিমুখী জ্বর,
দেখে হাসে এই চরাচর,
বিমূঢ় বিরাগে বিদ্রূপী তাই
তুমি আমি আর ঘর।