তুমি শুধু এক বৈশাখে
আমার বুকেতে নিশ্বাস ফেলো একবার ...
বারোমাস আমি সেই নিশ্বাসে
হাসবো কাঁদবো মিছে আশ্বাসে,
অনুষ্ণ হবো রৌদ্র দহনে
অবিদিত রবো বিদিত চয়নে
শুষ্ক জমিন লেহনে খুঁজবো
নৃলোকের শীধু সুরাসার।
তুমি শুধু এক বৈশাখে
আমার নয়নে অনুভূতি দাও বেদনার ...
সেই চাহনির অগ্নিশিখায়
ভরাবো হৃদয় কানায় কানায়,
ধূলিঝড়ে ভিজে মন বাতায়নে
পাপ ধুয়ে নেবো রবি পার্বণে
এক জনমের অশ্রু ঝরিয়ে
দুখকে করবো নিরাধার।
তুমি শুধু এক বৈশাখে
আমার ওষ্ঠে চুম্বন আঁকো একবার ...
সেই সোহাগের উত্তাপ ঢেলে
হাজার বর্ষা দেবো দূরে ঠেলে,
মেঘকে পুষবো মনের আকাশে
কদম ঢাকবো জারুল গুলাসে
অধর পুষ্পে উষ্ণতা শুষে
হবো কামনার মালাকার।
তুমি শুধু এক বৈশাখে
আমাকে চেনাও কে আমি আর কি আমার ...
শত রজনীর হিম আলোয়ানে
নিজেকে খুঁজেছি ভুল নিরূপণে,
শ্বেত ধানী রঙা বিভ্রম রচে
কবিতা লিখেছি মেকি সংকোচে
নগ্ন প্রমাদে অংশু প্রসাদে
অকবিকে করো রূপকার।