বুক-প্রাচীরে সুখরা ধূসর দুঃখগুলো নীল,
বেরঙ সুখের আড়াল বরে সেই অমিলেই মিল।
সেই প্রাচীরের রুদ্র চূণায়
নিত্য ব্যথার সন্ধ্যে ঘনায়,
ইটের খাঁজে তাম্র দাগে
শূন্যতাদের ফাটল জাগে,
জীর্ণ শরীর, অস্তি জুড়ে কষ্ট করে ভর,
সুখ শুধু দেয় হেলান বুকে, দুঃখ করে ঘর।
প্রাচীর জাগে হয়তো বা তাই ঘুম খুঁজে পায় বুক,
স্বপ্নে বোনে কথার মালা, প্রাচীর থাকে মূক।
মৌন-শাপের ক্লিষ্ট বরে
রোদ-ছায়া-জল আছড়ে পড়ে,
আজন্ম ক্ষোভ শেওলা হয়ে
জমছে, আবার যাচ্ছে ক্ষয়ে,
বুক-জমিনে কাব্য গীতি আলাপ বিলাপ শ্লোক,
প্রাচীর তো চুপ, ভেতরে তার যা কথা হয় হোক।
সময় স্রোতে সব চলমান প্রাচীর শুধু ঠায়,
স্মৃতির ভারে নুব্জ্য, তাতে কার কি আসে যায় ?
হোক প্রাসাদ আর হোক কুঁড়েঘর
দুঃখ নিয়েই বুকের আসর,
সেই আসরের ছিন্ন বীণায়
আমৃত্যু খেদ জীবন চেনায়,
সুখ আসে যায় হাসায় ভোলায় শরত মেঘের মতো,
বুক কাঁপে, ফের স্থির হয়ে কয়, আর কাঁদাবি কতো ?
অরুণ সুখের ছাপগুলো তাও আটকে ছিল ইটে,
অন্তহীন এই কালহরণে সে দাগ আজ কালসিটে।
যায় না মুছে সে দাগ, তারে
প্রাচীর পোষে দেনার ভারে,
বুক-উঠোনে সতেজ বিষাদ
ফের আয়োজন, বিমূঢ় প্রমাদ,
দ্বিষত পণে দুই-রঙা তাই মন-দুয়ারের খিল,
বুক-প্রাচীরে সুখরা ধূসর দুঃখগুলো নীল।