জঠরভগে নিহিত নর
প্রতাপ শৌর্য দাপ,
যুবা রূপে বয়স মাখায়
পৌরুষ অভিশাপ।

শিশ্ন পিশাচ নিত্য শিরায়
লিপ্সা গরল ঢালে,
দম্ভক্ষুধা জীবন পাশায়
অশিব গুটি চালে।

হীনমতির কলুষ জাগায়
রতিলীলার রোষ,
জঠর ঋণের দায় মুছে দেয়
অহংবোধের দোষ।

অহমিকার দেয়াল তুলে
দাবায় যে নর ধরা,
মরদ গুমর ভোলায়, অসু
নারীর হাতেই গড়া।

সেই দাপে ভর সেই তাপে খর
কর্তা মোহের যজ্ঞ,
অন্ত আদি অসাধিত
জীবনভরের অজ্ঞ।

অজ্ঞ নরের অশীল ধাতু
কোন নারীরে টানে ?
হরিষ বিষাদ জীবন মরণ
অম্বিকারাই জানে।

দৈব যেদিন করবে নিঃস্ব
দ্বেষ্য হাসি হেসে,
ছিন্ন সে নর খুঁজবে নারী
পরাজিতের বেশে।

সেদিন নরের পৌরুষ দাপ
অশ্রু দেবে ধুয়ে,
নিঃসত্ত্ব নর মানব হবে
নারীর কোলে শুয়ে।

নরের অশ্রু ঝরবে হয়ে
সমর্পণের জল,
মানবরূপে অনঘ হবে
বীর্য বর্ণ বল।

বন্ধু সাথী হবে যে নর
পতি প্রতাপ ভুলে,
তারেই নারী করবে পুরুষ
হৃদয় দুয়ার খুলে।