তোমার আমার সবার ঘরে সময় কাঁদে,
দেয়ালজুড়ে ইচ্ছে আটক ... দৃষ্টি ছাদে।
রূদ্ধ প্রহর গুনেই এখন স্বপ্ন দেখা,
আসবে সুদিন আবার ... আমরা নইতো একা।
আসবে সুদিন আবার ... বলে জানলা-দুয়ার,
হারিয়ে যাওয়া কান্না-হাসি ফিরবে কি আর ?
নাই বা ফিরুক যেমন ছিলো জীবনযাপন,
ফিরবে কি আর হারিয়ে যাওয়া বন্ধু-স্বজন ?
স্বপ্ন তবু ভাসতে থাকে ইচ্ছে-ঘরে,
নতুন করে ভাবতে আবার ইচ্ছে করে।
বুক-পাঁজরে আগলে রাখা স্মৃতির বুকে,
হারিয়ে যাওয়া পণগুলো তাই রাখছি টুকে।
সুদিন যেদিন আসবে সেদিন বাইরে যাবো,
মনের পণে পণের মনে রোদ মাখাবো।
যা বাঁচে তা-ই রাখবো অনেক যত্ন করে,
মরবো না আর কপট বাঁচার শ্বসন জ্বরে।
এমন ভেবেই কাটছে এখন অলীক জীবন,
নিগূঢ় স্ফূরণ গহন নমন অরূপ বেদন।
জানবে না কেউ কার কি হলো কার কি হবে,
সবার মনে প্রশ্ন ... সুদিন আসবে কবে ?
হয়তো সুদিন নিজেই গেছে নির্বাসনে,
কাঁদছে ব্যথায় ... পুড়ছে হেলার অনির্বাণে।
যখন ছিলো কেউ করেনি যত্ন তারে,
দেয়নিতো ঠাঁই বাইরে-ঘরে ... বা সংসারে।
হয়তো বা তাই সুদিন এখন পাখির মিতা,
ফুলের দোসর, আরণ্যকের দীপান্বিতা।
বন্ধু যে তার পাহাড় নদী সুনীল আকাশ,
ঝিকমিকে তট সায়র বালু শুদ্ধ বাতাস।
যখন ছিলো আমরা তারে দেইনি কিছু,
আমরা তখন ভোগ-বিলাসের নিচ্ছি পিছু।
পাইনিতো টের ডুবছি কে কোন ভুলের আঁশে,
রূদ্ধ ঘরে তাই কি খেদের ভাবনা হাসে ?
তাই যদি হয় আফসোসই হোক সঙ্গি এখন,
হোক অনুতাপ বন্ধ খাঁচার মনন সাধন।
মুক্তিলাভের আশায় কাটুক এই কারাবাস,
সুদিন আসুক ... থাকুক শুধু এই অভিলাষ।
ভুলবো কি কেউ এই সময়ের গল্পগুলো ?
সুখ-বালিশের ভেতর জমা দুঃখ-তূলো ?
নির্বেদ শত প্রহর গুনে আপন ঘরে,
সবার জন্য বাঁচতে আবার ইচ্ছে করে।
এমন ভেবেই মরণ-বীণার করুণ সুরে,
কেউ কাছে কেউ দূরে ... কেউ অচিনপুরে।
শুদ্ধিবরে শাপমোচনের তীব্র আশায়,
সুদিন আসার অপেক্ষা আজ ডুবায় ভাসায়।
সুদিন আসুক ... আরেকটাবার ... এই জীবনে,
আমরা তারে রাখবো এবার খুব যতনে।
পাবন বরে হোক অনুপম এই সমাগম,
নতুন করেই সার্থক হোক মানবজনম।