পথিক-জীবন, নেই ঠিকানা দিগন্ত বা নীড় ...
মন আকাশের গুচ্ছ মেঘে না-পাওয়াদের ভিড়।
স্মৃতির ভাঁজে ইচ্ছে লুকোয় সময়-পুঁথির শ্লোকে,
তোমায় নিয়ে কাব্য শুধু থাকুক মর্তলোকে।
তোমায় নিয়ে কাব্যে আমার না-পাওয়াদের ঢল,
সময়-পুঁথির রুধির জুড়ে অযুত দুখের ছল।
সমাজ স্রোতের তাড়ন-শাপে ভুল ছিলো সেই মিল,
কেউ জানে না সেই মিলনের সবটা ছিলো শ্লীল।
সবাই বলে ঠিক ছিলো না পাপ ছিলো সেই যোগ,
যে যার ঘরে আগুন ঢেলে ভ্রষ্ট হওয়ার রোগ।
কেউ বলে দোষ কেউ বা গুনাহ কেউ বলে যাহ, ছিঃ,
তোমার আমার কাব্য বলে ... যা-ই ছিলো, কার কি ?
তুমি আমি পথিক ছিলেম বন্ধু ছিলো পথ,
চার দেয়ালে মন টেকেনি ভাবনা ছিলো রথ।
শান্তি এষণ ভুলেই ছিলো মন-মেলানোর ছুট,
বেঘর হয়ে দুঃখে বাঁচার আশাই ছিলো কূট।
হয়তো এসব ভাবনা ছিলো শুধুই আমার মনে,
পথিক-জীবন পথ সাধনেই মুক্ত ছিলেম পণে।
কিন্তু আমার স্বপ্ন মেঘে আঁটলে তুমি গোঁজ,
মনকে ভুলে করলে তুমি পূণ্যলাভের খোঁজ।
পূণ্য-ঠিকার সমাজ তোমায় নিত্য করে পর,
তবু দেখো ... এই সমাজেই খুঁজছো তুমি ঘর।
আমায় দেখো ... ঘরছাড়া মেঘ হয়েই আছি বেশ,
মন আকাশের অবাধ বরে হচ্ছি নিরুদ্দেশ।
এসব ভেবে আজও তোমার হৃদয় জুড়ে খেদ,
পথটা আমার ভুল ছিলো, এই প্রমাণ করার জেদ।
দেখো আমায় .... ভুলই ছিলেম, আজও আছি ভুল,
আমার মনের আকাশ জুড়ে বেঠিক তারার ফুল।
ঠিক মাতনে তোমার সমাজ খুঁজতে থাকে সুখ,
হয়তো বা তাই আমায় ফেলে শূণ্য তোমার বুক।
তোমায় নিয়ে কাব্যে আমার হয়তো বা তাই জ্বর,
একলা যাবো, হয়তো ছিলেম একাই জনমভর।
দোষ-পীড়া-ভুল-গরল করেও রাখো ... দ্বিধা নেই,
একটা পাগল আটকে রাখার সুযোগ তোমায় দেই ?
এক জীবনের একটা ভুলে আর কি হবে পাপ,
মনকে চেপে শ্বাস নেয়া তো ভীষণ অভিশাপ।
সীমার দাগে আটকে আছো বিষম নিরূপণে,
মেঘ হয়ে তাই যাচ্ছি ভেসে কাঁদছি মনে মনে।
না-পাওয়াদের যুগল ব্যথায় দুই মনে দুই চিড়,
পথিক-জীবন, নেই ঠিকানা দিগন্ত বা নীড়।