কারও নয়নের কোণে জল,
হৃত বিজয়ের কোলাহল,
মনে কষ্টের সূঁচে গাঁথা,
না-বলা না-শোনা কথা।

কেউ নির্বাক চাপে শ্রান্ত,
মৌনী অপলাপে দিকভ্রান্ত,
কারও কলম হয়েছে ফেরী,
মুখ খুলতে হয়েছে দেরী।

কারও সিঁথিতে লুপ্ত সিদুর,
ভাঙা শাখা বালা হার চুড়,
বিজয়ী যোদ্ধা বেশে,
সে তো আসবে না দিন শেষে।

নেই কাজল ... নেই তো লগ্ন,
কেউ হবে না বাসরে মগ্ন,
জড়োয়া আঁচলে, ঢাকা লজ্জায়,
সে তো হাসবে না ফুলসজ্জায়।

সাঁজোয়া অস্ত্রে ঝান্ডা তুলে,
ক্ষমতা চুষেছো ... জাতিকে ভুলে,
কখনও ভেবেছো কি কতো বুকে ...
দিয়েছো ব্যভিচারী শূল ঠুকে ?

প্রকাশে রূদ্ধ করেছো স্বর,
গড়েছো অসুর আয়না ঘর।
বচনে কথনে তর্কে মন্ত্রে,
মতকে ভরেছো ... ফ্যাসিতন্ত্রে।

কখনও ভেবেছো? তুমি নশ্বর ....
নও বেদব্যাস .... পরাশর?
তোমারও মাটি ভিজে হবে কাদা,
তোমারও কাফনের রঙ সাদা?

তবুও কেন যে দাপটে জাঁক?
নগরে শ্যামলে বিনাশী হাঁক,
তুমি জানো না কি এই দেশে,
যে কেউ ... মরে যায় ভালোবেসে!

তুমি জানো না যে ওরা কারা,
তুমি দিশাহীন দিশেহারা,
ওরা তো মানে না মরণ ভয়,
হৃদয়ে অবিনাশী ... অক্ষয়।

তাই পলায়নে তুমি শেষ,
গ্রাফিটি কাব্যে বাংলাদেশ,
তবু কোলে নেই সন্তান,
বুকে চোরাস্রোতে কাঁদে প্রাণ।