ধরায় যে সুখ তোমাতে আমার নেই মঙ্গলে বা বুধে,
হোক প্রেমঋণে ভরাট বোঝা অভিমানী চড়া সুদে।
এক জনমেই এক বসুধায়
এই মন শুধু তোমারেই চায় …
নেই অভিযোগ স্বর্গ বিয়োগে
অভিশাপ থাক আমৃত্যু রোগে,
তবুও ত্রিবিদ থাকুক তোমাতে
অবণী ক্ষপায় লৌকিক প্রাতে …
পাপীষ্ঠ কায়া বিধর্মী হায়া থাকুক না আঁখি মুদে,
দৃশ্যমে হোক অন্তর বড় অদৃশ্য হোক ক্ষুদে।
শুক্তিমাল্যে উপল কবজে জলদস্যুর মতো নেচে,
অম্বুধি স্রোতে ভেসেছি, তবু তো মুক্তো নেইনি সেঁচে।
মুক্তো কে খোঁজে ? ... ঝিনুকেই যদি
বৃত সৌষ্ঠব ডাকে নিরবধি ...
কালোপট্টির আড়ালে লুকোনো
অদেখা কামুক লোভটা পুরোনো,
একচোখ রোদে ঝলসানো ঠায়
চোরা ধনে মনে ...হাতছানি, হায় ...
বিনাশের হাসি তবু ভালোবাসি কপট দৃষ্টি যেচে,
বসতি মলয় ভুলেই তো তাই সমুদ্রে আছি বেঁচে।
জলপরী কই ? কোথায় রম্ভা ? কে আর হবে সীতা ?
জন্মান্তরে তুমিই আমার রাধা মীরা পরিণীতা।
বিরজা বিমলা যমী নর্মদা
স্ত্রী-নাম করেছে নত সর্বদা ...
কি গ্রীষ্ম কি শরত বা শীত
স্ত্রী যা-ই করে হিতে বিপরীত,
উষ্ণে আতপ শৈত্যে শীতল
যে নারী দিয়েছে সে-ই তো বিরল ...
তুমি দাও ... আর ভুলে যাও কে যে স্বামী-পতি-প্রভু-পিতা,
প্রেয়সীর রূপে চন্দনে জ্বালো প্রেমিকের দাপ-চিতা।
বেদুঈন সুখ নাগরিক দুখ সবই আছে প্রেমরোগে,
জ্যামিতি সঠিক গুণ-ভাগ শুচি ভুল তো যোগ-বিয়োগে।
তোমার চুমুতে অধর ভিজিয়ে
মরুতেই সুখ স্বপ্ন সাজিয়ে ...
তপ্ত বালুতে পুড়ে ছারখার
আরবী ঘোড়ায় তবুও সওয়ার,
চোখে আর নেই নগরের ছবি
অনেক বেচেছে নাগরিক কবি ...
নথি প্রেমে বেধে মিছে হেসে কেঁদে বারোমাস গেছে ভোগে,
আসবে না তুমি মুঠোতে, না হয় বাঁচি সেই অনুযোগে।