মোমের মতো জ্বলছে হৃদয় রোজ,
গলছে জমছে ব্যথার করুণ ধারা …
ভ্রূণে ছিলো আলোর নিখাদ খোঁজ,
অন্তে বিবশ, সব এষণের সারা।
ছোট্ট শিখায় ক্ষীণ আশার আলো,
জরদ কায়ায় নীলচে ব্যথার দাগ …
একটু পরেই আঁধার নিরেট কালো,
মুখ লুকোবে সব হারানোর রাগ।
একটু পরের শঙ্কা দোলে খুব,
এপাশ ওপাশ ঘুমহীনতার মতো …
আলোর সাথে সুখগুলো দেয় ডুব,
দেখবে না কেউ জনমভরের ক্ষত।
মোমদানীটাও মোম মেখে ভরপুর,
নেই যে তার আর প্রথম দেখার ভান …
মোম-শরীরের যৌবনও কর্পূর,
লটকে দেহে ঝুলছে ধ্বসের টান।
আলোয় ছিল চিত্রকরের খেয়াল,
ঐন্দ্রজালিক ছোঁয়ায় দেয়াল পট …
হরিণ ভালুক বক-শালিক আর বেড়াল,
আঁকতো ছায়ায় হাত আঙুলের জট।
যৌবনে সেই খেয়াল হলো কাম,
আঁধার সয়ে বাড়লো মোমের তেজ …
কৃষ্ণ রিপু মানলো না ডান বাম,
রইলো ত্যাড়া লোভ-কুকুরের লেজ।
লোভের শিখায় হরিণ বেড়াল ছায়া,
সবটা উধাও, নৈশ ভগের টানে …
আলোক আঁধার রসরমণে কায়া,
শ্যাম বাসনায় কার নীতি কে মানে !
কায়ার আগুন ক্ষীণ, মাথা পেতে,
শরম ভুলেই মনের মোমে ভাসে …
আক্ষেপের এই উষ্ণ তরল স্রোতে,
না মেটা সব ইচ্ছেরা আজ হাসে।
ইচ্ছেরা আজ হৃত দুরাশায় ঘেমে,
ঘরের শাপে আটক অভিমানে …
মূর্ত বিষাদ ছায়ায় আসে নেমে,
দেয়াল শুধু গুমোট ব্যথা জানে।
এমন করেই কাটছে প্রহর ক্ষণ,
নেই তফাতে রাত বা দিনের খোঁজ …
পলকা ওমে কাঁপছে ভেজা মন,
মোমের মতো জ্বলছে হৃদয় রোজ।